পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুগাবেড়িয়ার জমিদার-বংশ । rN এক্রয়বিক্রয় মুখরিত একটী বাজার স্থাপন করিয়াছেন এবং ভদ্রলোকের থাকিবার উপযোগী একটী রম্য অট্টালিকা ধৰ্ম্মশালার জন্য নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। সেখানে ইহার উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাস-স্থাপনের কথা পূর্বেই লিখিত হইয়াছে। বি এন আর রেলে যাইবার নিমিত্ত প্ৰতিদিন কণ্টাই-বেলদা রোডে ও অন্যান্য পথে আগত শত শত যাত্রীকে বেলদাবাজার হইতে প্ৰায় এক মাইল পথ ঘুরিয়া ষ্টেশনে যাইতে হইত। উক্ত মহাত্মা যাত্ৰিগণের এইরূপ অসুবিধা নিবারণের জন্য অনেকের জমি উচ্চতর মূল্যে ক্ৰয় করিয়া ক্ষতিস্বীকার করতঃ ডিষ্ট্রিকটু বোর্ডের সাহায্যে ষ্টেশনে যাইবার নিমিত্ত একটী প্রশস্ত পথপ্ৰস্তুত করিয়া দেওয়ায় প্ৰায় দুই তৃতীয়াংশ পথ কমিয়া গিয়াছে। লেখা বাহুল্য যেইহাতে যাত্ৰিগণের খুব সুবিধা হইয়াছে। ইনি ৬ কাশীধামে দুইখানি ও ৬/পুরীধামে একখানি বৃহদাকার অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করাইয়া পান্থশালার নিয়মানুসারে যথাযথ কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করতঃ তীর্থযাত্ৰিগণের ঐ সকল তীর্থে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বাস করিবার সুবিধা করিয়া দিয়াছেন। ইনি সাধারণ তীর্থযাত্রী এবং সাধু অতিথিগণের বিশ্রামের জন্য বেলদা বাজারের পশ্চিমাংশে একটী পুষ্করিণী খোদিত করিয়া একটী স্বতন্ত্র অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। আরও ইনি দেশের মধ্যে যেখানে যেখানে পানীয় জলের অসুবিধার বিষয় সবিশেষ অবগত হইয়াছেন সেই সেই স্থানে নূতন পুষ্করিণী খনন বা পুরাতন পুষ্করিণীর পঙ্কোদ্ধার করিয়া পাকাঘাট বাধিয়া দিয়াছেন। অনেক স্থানে বহু লোকের যাতায়াত-মার্গে উপযুক্ত স্থানে পুল না থাকায় পথিকগণকে অশেষ দুঃখ ভোগ করিতে হইত। এই মহাত্মা সেই সেই স্থানে কতকগুলি কাষ্ঠময় সুদৃঢ় স্থায়ী সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়া সকলেরই ধন্যবাদাভাজন হইয়াছেন। 29ܠܢ