পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীহৰ্ষ মুখোপাধ্যায়। শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীহৰ্ষ মুখোপাধ্যায় ভরদ্বাজ গোত্রজ,খড়দহর মুখুটী, যোগেশ্বন পণ্ডিতের সন্তান। আদিশূরের আনীত পঞ্চ ব্ৰাহ্মণের মধ্যে শ্ৰীহৰ্ষ হইতে ইনি ৩২শ পুরুষ। ইহার নিবাস বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত জামালপুর থানার অধীন ধুলুক গ্রামে। পূর্বে ইহা একটী গণ্ডগ্ৰাম ছিল। এককালে ঐ গ্রামে ৮৯টীি টোল ছিল। স্বৰ্গীয় ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর যখন হিন্দু বিধবার বিবাহ শাস্ত্ৰসম্মত বলিয়া প্ৰতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন, তৎকালে উক্ত ধুলুক গ্রামের অন্যতম পণ্ডিত নন্দকুমার কবিরত্ন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রস্তাবের তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিয়া একখানি পুস্তিকা প্রণয়ন করিয়াছিলেন। সন ১২৭২ সালে ধুলুক গ্রামে প্রথম ম্যালেরিয়ার আক্রমণ হয়। তাহাতে গ্রামে যে মহামারী উপস্থিত হয় তাহা বৰ্ণনাতীত। এক এক দিন গ্রামে ১৫/১৬ জন করিয়া লোক মৃত্যুমুখে পতিত হইতে থাকে। অল্পদিন মধ্যেই গ্রাম প্ৰায় জনশূন্য হইয়া উঠে। গ্রামে যে কয়ট টোল ছিল তাহা ক্ৰমে ক্ৰমে লোপ পাইতে আরম্ভ হয়। অবশেষে গ্রামে একটী মাত্ৰ টোল থাকে। শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীহৰ্ষ বাবুর জ্যেষ্ঠ মাতামহ ৬/ঈশ্বরচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন মহাশয় ঐ টোলের অধ্যাপক ছিলেন। ৩০ বৎসরের কিছু অধিক হইল, ৬/ঈশ্বরচন্দ্র ন্যায়রত্ন মহাশয় দেহত্যাগ করিয়াছেন। তাহার মৃত্যুর পর গ্রামে সংস্কৃতচৰ্চা এক প্রকার লোপ পাইয়াছে। এককালে সমৃদ্ধিশালী গ্রাম এখন প্ৰায় জনশূন্য হইয়াছে। সেওড়াফুলির রাজবংশের স্থাপিত শ্ৰীশ্ৰী৮/কাত্যায়নী প্রভৃতি কয়েকটী দেবীমূৰ্ত্তি এই গ্রামে ছিলেন। ইতিপূর্বে তাঁহাদের সেবা পূজা মহাসমারোহে সম্পন্ন হইত, এখন তাহাও প্ৰায় লোপ পাইতে বসিয়াছে। ম্যালেরিয়ায় প্ৰথম প্রকোপ বিস্তারের অব্যবহিত পয়ে অর্থাৎ সনা