পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ-পরিচয় । হইতে হইবেই। এই সব ভাবিয়া চিন্তিয়া ঐ গৈরিকধারী ভিক্ষু সংসার ত্যাগ করিয়া বাহির হইয়াছে, যদি সে কোনক্রমে সাধনার দ্বারা জন্ম, মৃত্যু জরা ও ব্যাধির হাত হইতে মুক্তি পাইতে পারে।” ভিক্ষুর এই প্রশান্ত মূৰ্ত্তি রাজকুমারের মনের মধ্যে অঙ্কিত হইল। তিনি স্থির করিলেন, যখন প্ৰাসাদের মধ্যে বাস করিলেও আধি, ব্যাধি, জরা, বাৰ্দ্ধক্যের হাত হইতে রক্ষা পাইবার কোন উপায় নাই—যখন এই ললিতলবঙ্গসদৃশ বাহু পুড়িয়াও ছারখার হইবে-যখন এই সুগঠিত দেহ শ্মশান-বিভূতিতে পরিণত হইবে, তখন যে কাজ করিলে মানুষকে বারংবার জন্ম-মৃত্যুর অধীন হইতে না হয়, সেই কাজ করাই ভাল। এই সমস্ত ভাবিয়া রাজকুমার সিদ্ধাৰ্থ ভিক্ষুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতে সঙ্কল্প করিলেন । স্থির করিলেন, সেই রাত্রেই তিনি সংসার পরিত্যাগ করিয়া যাইবেন। রাজকুমার কোথায় যাইবেন, কি করিবেন, এইসমস্ত বিষয় ভাবিতেছেন, এমন সময় রাজা শুদ্ধোধনের একজন দূত আসিয়া জানাইল যে, রাজকুমারী যশোধরার একটি পুত্রসন্তান হইয়াছে। রাজকুমার এই কথা শুনিয়া একেবারে চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “রাহুল!” রাহুল অর্থে প্ৰতিবন্ধক। দূত আসিয়া রাজাকে বলিল, “রাজকুমারকে পুত্রের জন্মের সংবাদ দিলে রাজকুমার অন্য কোন কথা বলিলেন না, কেবল রাহুল বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন।” রাজা শুদ্ধোধন। রাহুল কথার অর্থ জানিতেন না ; তিনি মনে করিলেন, সিদ্ধার্থ বোধ হয় পুত্ৰটীর নাম “রাহুল” রাখিবার জন্য বলিয়াছেন, তদনুসারে তিনি পুত্রটির নাম “রাহুল” রাখিলেন। অতঃপর রাজকুমার প্রাসাদে প্ৰবেশ করিলেন, তখন সুন্দরী কুমারীগণ নানাপ্রকার অঙ্গভঙ্গি-সহকারে নৃত্য করিতে করিতে গান করিতে লাগিল। যুবরাজ খট্টাঙ্গে শুইয়া তাহ শুনিতে লাগিলেন। অন্যদিন যুবরাজ উৎকৰ্ণ হইয়া কুমারীদের গান শুনেন, কিন্তু আজ