পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । অতঃপর সিদ্ধার্থ রাজগৃহের পাণ্ডব পৰ্ব্বত পরিত্যাগ করিয়া ঋষি আনর কমল ও উদক রমাপুত্রের সন্ধানে যাইলেন। ইহারা তখন আধ্যাত্মিক সম্পদে সম্পদবান মহাঋষি বলিয়৷ বিখ্যাত। এই ঋষিদের আশ্রমে সিদ্ধাৰ্থ কিছুদিন থাকিয় তাহদের নিকট যাহা কিছু শিক্ষণীয় ছিল তাহা শিক্ষা করিলেন । কিন্তু তাহারা যে ভাবে উপাসনা করেন, সেরূপ উপাসনায় সন্তুষ্ট না হইয়া তিনি নিরঞ্জনা নদীর তীরে-উরুবিন্ধে ধাইলেন। এখানে তিনি ছয় বৎসর কাল কঠোর সন্ন্যাসব্রত উদযাপন করিলেন। এখানে তিন জন ভিক্ষুর সহিত র্তাহার প্রথম সাক্ষাৎকার হইল। এই ভিক্ষুকেরা তাহার শিষ্য হইয়াছিল, শিন্যেরা তঁহার কঠোর তপশ্চৰ্য্যা পৰ্য্যবেক্ষণ করিত। সিদ্ধার্থ এই সময়ে মাত্ৰ দৈনিক এক রতি মাত্রায় চাউল খাইতেন, তাহার ফলে যে দেহ কয়েক বৎসর পূর্বে তেজ ও লাবণ্যে ঢল ঢলা করিত, সেই দেহ এরূপ শুষ্ক বিশীর্ণ জীৰ্ণ হইয়া গেল যে, তাহার উখানশক্তি পৰ্য্যন্ত লোপ পাইল। একদিন ক্ষুধার তাড়নায় অথবা দৌৰ্ব্বল্যে যখন তিনি একেবারে অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন, তখন তিনি শিষ্যগণের বহু অনুরোধে সেই তপশ্চৰ্য্যা পরিত্যাগ করিলেন। তিনি বুঝিতে পারিলেন, উপবাসাদি করিয়া শরীরকে অযথা কষ্ট দিলে মানুষের মুক্তি হয় না। তাই শারীরিক বলাধানের জন্য তিনি পুনরায় আহার করিতে আরম্ভ করিলেন ; তিনি বুঝিতে পারিলেন, শরীরে যদি শক্তি, সামর্থ্য ও বল না থাকে, তবে মানুষের মনও দুর্বল হইয়া পড়ে। কিন্তু ইহাতে আর এক কাণ্ড ঘটিল। সিদ্ধার্থ যে মুহুৰ্ত্ত হইতে ভাত খাইতে আরম্ভ করিলেন, সেই মুহুৰ্ত্ত হইতে র্তাহার শিষ্য পাঁচ জন তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল। যতই দিন যাইতে লাগিল, ততই বোধিসত্ত্ব বুদ্ধের জ্ঞান হইতে লাগিল এবং বুদ্ধত্ব লাভের পূর্বদিনে তিনি স্বপ্নে দেখিতে পাইলেন যেন তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করিয়াছেন। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিনে তিনি এক বটবৃক্ষমূলে