পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় অশ্বিনীকুমার দত্ত। Svo ধনকে বড় মনে করিত। বিদেশী ভদ্রলোকের থাকিবার কোনও ঘর কিংবা হোটেল ছিল না, যাহারা থাকিত তাহারা বাধ্য হইয়া বেশ্যালয়ে নিশা যাপন করিত। আশ্বিনীকুমারের চেষ্টায় বরিশাল হইতে মদের দোকান ও পতিতা নারীদের আস্তানী উঠিয়া যায়। নির্বাসিত হইবার পূর্বে অশ্বিনীকুমার ‘বিকাশ” নামক একখানি সাপ্তাহিক’পত্রের প্রচার ও তাহার সম্পাদকতা করিয়াছিলেন । ১৯০৫ সালে বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ হয়। ১৯০৬ অব্দে বরিশাল সহরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সমিতির অধিবেশন হয়। নানাদিগদেশ হইতে বহু শত প্ৰতিনিধি বরিশালে উপস্থিত হন। দেশপূজ্য ৬/সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৬/মতিলাল ঘোষ, ৬/ভূপেন্দ্ৰনাথ বসু প্ৰভৃতি কলিকাতা হইতে এই কনফারেন্সে গমন করেন। ব্যারিষ্টার এ রসুল সভাপতি নির্বাচিত হন। কর্তৃপক্ষ রাজপথে বন্দে মাতরম ধ্বনি করিতে নিষেধ করেন। এই কনফারেন্সে পুলিশ অযথা লাঠি চালায় ; সুরেন্দ্রনাথকে পুলিশ জেলা-ম্যাজিষ্ট্রেট এমাসন সাহেবের বাড়ীতে লইয়া যায়। অশ্বিনীকুমার এমাসনের কক্ষে প্ৰবেশ করিলে তঁহার মাথায় টুপি নাই বলিয়া তাহাকে বাহির করিয়া দেওয়া হয়। ১৮৮ ধারায় সুরেন্দ্ৰনাথের দুই শত টাকা জরিমানা হইল, সুরেন্দ্ৰনাথ ইহার প্রতিবাদ করিলে ম্যাজিষ্ট্রেট এমসিন আদালত-অবমাননার অপরাধে সুরেন্দ্রনাথের আরও দুই শত টাকা জরিমানা করিলেন। সাহেব সুরেন্দ্রনাথকে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে বলিলেন, কিন্তু সুরেন্দ্ৰনাথ তাহা না করিয়া বলিলেন-I respectfully decline to apologise. I have done nothing wrong. সুরেন্দ্ৰনাথ অবশ্য হাইকোটো আপীল করায় জরিমানার টাকা ফেরত পাইয়াছিলেন। সেই কনফারেন্সে অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি রূপে অশ্বিনাকুমার সমাগত প্ৰতিনিধিগণকে অভ্যর্থনা করেন।