পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रींश आश्र्निौकूभांद्र ख.। SV) আমার জীবনচরিত। সতীশবাবু খােতাখানা উলটাইয়া তন্ন তন্ন করিয়া সমস্ত পাতা দেখিয়া বলিলেন, এই খাতার সমস্ত পাতাগুলিই যে সাদা ! অশ্বিনীবাবু হাসিতে হাসিতে বলিলেন, দেখা খাতাখানার উপরের মলাটখানি আমার জন্ম-পত্রিকা আর শেষদিককার মলাটখানি আমার মৃত্যুপত্রিকা। ইহার মাঝে যে সাদা পাতাগুলি দেখিতেছ। উহাই আমার জীবন-জীবন-মৃত্যুর মধ্যভাগটা সবই ফাক, বুঝিলে তা? ভক্তেরা সকলে তাহার রসিকতার মধ্যে গভীর আধ্যাত্মিক তত্ত্বের অস্তিত্ব দেখিয়া অবাক হইল। অশ্বিনীকুমার বহুভাযাবিং ও নানাশাস্ত্ৰে সুপণ্ডিত ছিলেন। উপনিষদ, গীতা ও ভাগবত র্তাহার কণ্ঠস্থ ছিল। আর তাহার স্মরণশক্তির কথা বলিব কি ! তিনি টেনিসন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, বাইরণ, সেলি প্ৰভৃতি বড় বড় কবিদের কবিতা অনায়াসে আবৃত্তি করিতে পারিতেন । ১৮৯৪ খ্ৰীষ্টাব্দে বরিশালে ব্ৰজমোহন বিদ্যালয়ে অশ্বিনীকুমার ভক্তিতত্ত্ব সম্বন্ধে কয়েকটি বক্তৃতা প্ৰদান করেন। সেই বক্তৃতাগুলি শ্ৰীযুক্ত রসিক চন্দ্র রায় লিপিবদ্ধ করিয়া রাখেন। সেই অমূল্য বক্ততাগুলি একত্র সন্নিবেশিত করিয়া তাহার ‘ভক্তিযোগ’ গ্ৰন্থ রচিত হয়। ‘ভক্তিযোগের ন্যায় তত্ত্বোপদেশ পূর্ণ ধৰ্ম্মগ্রন্থ যে বাঙ্গালায় আর নাই, একথা সাহিত্যসম্রাটু বঙ্কিমচন্দ্ৰ হইতে অনেক সাহিত্যরখী একবাক্যে বলিয়া গিয়াছেন। আশ্বিনীকুমারের ‘ভক্তিযোগ’-পাঠে আমরা জানিতে পারি, কুসংসৰ্গ পরিত্যাগ করিয়া ক্রমাগত সদালাপ, শাস্ত্ৰাধ্যয়ন ও ভগবানে মতি রাখিলে মুক্তি তাহার নিকট আপনিই আসে। কেমন করিয়া কাম, ক্ৰোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসৰ্য্য ইত্যাদি পরাজয় করিয়া দাস্য, সখ্য প্রভৃতি দ্বারা ভক্তির সোপানে আরোহণ করা যায় অশ্বিনীকুমার ‘ভক্তিযোগে অতি প্ৰাঞ্জল ভাষায় সে সকল বিবৃত করিয়াছেন। ভক্তি