পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV) বংশ-পরিচয় । , বন্দোবস্ত ছিল না । ইনি নিজ ব্যয়ে উক্ত দাতব্য চিকিৎসালয়ে কলেরা রোগীর থাকিবার বন্দোবন্ত জন্য “কলেরা ওয়ার্ড” প্ৰস্তুত করাইয়া দিয়া জনসাধারণের মহাদুপকার সাধনা করেন। কত বিপদগ্ৰস্থ দুঃস্থ রোগী উক্ত ওয়ার্ডে অবস্থান করতঃ চিকিৎসিত হইয়া কল্যাণকারী মহাপুরুষের মঙ্গল-কামনায় দুই হাত তুলিয়া আশীৰ্বাদ করিতেছে, তাহার ইয়াত্ত নাই। পাবনা সহরে জুবিলী ট্যাঙ্ক (লক্ষ্মীসাগর) নামীয় জলাশয় ষে ভূমিখণ্ডের উপর খনন করা হয় তাহা তিনি দান করিয়াছিলেন। ইহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ ক্ষীরোদগোবিন্দ অতি অমায়িক এবং দেবতুল্য পুরুষ। স্বজনবাৎসল্য এবং আত্মীয়গ্ৰীতি ইহাতে সমধিক বৰ্ত্তমান। ইহার সময়ে নূতন সম্পত্তি আদি অর্জন দ্বারা সম্পত্তির আয়বৃদ্ধি হইয়াছে। মুক্তাগাছার বিখ্যাত রাজবংশের অন্যতম সরিক ৬/অমৃতনারায়ণ আচাৰ্য্য চৌধুরীর কনিষ্ঠা কন্যার সহিত ইহার বিবাহ মহাসমারোহে সুসম্পন্ন হয়। এই বিবাহে নবদ্বীপের বিখ্যাত মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতগণ নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন এবং কুলীন সমীকরণ হইয়াছিল। ইনি দীর্ঘকাল অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেটরূপে কাৰ্য্য করিয়া যশস্বী হইয়াছিলেন। এক্ষণে ইহার পাঁচ পুত্ৰ বৰ্তমান । অভয়গোবিন্দের দ্বিতীয় পুত্র তারকগোবিন্দ চৌধুরী মহাশয় বিষয়বুদ্ধিবিশিষ্ট ব্যক্তি। বিষয়কৰ্ম্মে ইনি অত্যন্ত সুদক্ষ। জমিদারী, মহাজনী প্ৰভৃতি কাৰ্য্যে তঁহার প্রভূত তীক্ষুবুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। ইনি নিজে “জমিদারী শিক্ষা” “মহজনী শিক্ষা” প্ৰভৃতি পুস্তকপ্ৰণেতা ; ইনি পাবনার বিখ্যাত শিল্পসঞ্জীবনী কোম্পানীর প্রাণস্বরূপ। ইহারই অদম্য যত্ন ও বুদ্ধিবলে উক্ত শিল্পসঞ্জীবনীর বিস্তৃত কারখানা পরিচালিত হইতেছে এবং শিল্পকলার ক্রমোন্নতিতে পাবনার উক্ত কোম্পানীর গেঞ্জি, মোজা, সোয়েটার প্রভৃতি বঙ্গদেশে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার ৰুরিয়াছে। পাবনার অধিকাংশ ব্যাঙ্কের ১ ডিরেক্টরস্বরূপ কাৰ্য্য করিয়া