পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ዓዲ9 বংশ-পরিচয় । উপেন্দ্রনাথ ও কনিষ্ঠ পুত্র নগেন্দ্রনাথকে লইয়া উলায় ফিরিয়া আসিলেন, কিন্তু তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্যামলাল হাবড়ায় বাস করিতে লাগিলেন। শ্যামলাল কৃষ্ণনগর কলেজ হইতে জুনিয়র ও সিনিয়র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ের এজেণ্ট আফিসে কৰ্ম্ম করিতেন। চাকুরীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি লৌহ ও কাষ্ঠের ব্যবসায়ও আরম্ভ করিয়াছিলেন। চাকুরী ও ব্যবসায়ে তিনি প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন এবং সেই অর্থে হাবড়া ও অন্যান্য স্থানে ভূসম্পত্তি করেন। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে শ্যামলাল লোকান্তরিত হন। তখন তঁহার বয়স প্ৰায় ৫০ হইয়াছিল। তিনি হাবড়ার একজন বিশিষ্ট নাগরিক ও অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন । শ্যামলালের জ্যেষ্ঠ পুত্র খগেন্দ্ৰনাথ হাবড়ায় ওকালতী করিতেন। তিনি জনহিতৈষী ছিলেন। তিনি হাবড়া মিউনিসিপালিটির কমিশনার ও বঁ্যাটরা অনাথ-বন্ধু সমিতির কর্ণধাররূপে লোকসেবা করিয়া গিয়াছেন। তঁহারই চেষ্টায় হাবড়ার খুরুট অঞ্চলে একটি স্কুল স্থাপিত হয়। -খগেন্দ্ৰনাথ সাহিত্যসেবী ছিলেন। শ্ৰীযুক্ত দুৰ্গাদাস লাহিড়ীর পরিচালিত ‘সাহিত্য-সমাচার” নামক মাসিক পত্রে তাহার বহু রচনা প্ৰকাশিত হইয়াছিল। খগেন্দ্ৰনাথের কতকগুলি রচনা একত্র করিয়া ‘নবরত্ন” নামক পুস্তকে প্ৰকাশিত করা হইয়াছে। মাত্র ৪৩ বৎসর বয়সে ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু হয়। র্তাহার অকাল মৃত্যুতে সমাজের কল্যাণকারী ব্যক্তির তিরোভাব ঘটে। খগেন্দ্রবাবুর পরিবারবর্গ এক্ষণে হাবড়ায় বাস করিতেছেন। শ্যামলালের কনিষ্ঠ পুত্র যতীন্দ্রনাথ মিত্র, এম-এ, বি-এল প্ৰথমে রিপণ কলেজের দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন। পরে কিছুদিন হাবড়ায় ওকালতীও করেন। অতঃপর ডেপুটী মাজিষ্ট্রেট-পদে নিযুক্ত হন। মধ্যে কয়েক বৎসর ইনি হাবড়া মিউনিসিপালিটির ডেপুটী চেয়ারম্যান