পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকীর জমিদারবাবুদের বংশ। ቌb”¢ অতীত গৌরবের সাক্ষ্য দিতেছে। লব ও কুশের অপুত্ৰক অবস্থায় মৃত্যু হয়। কথিত আছে, যখন বিশ্বনাথবাবু তুলাদণ্ডে করিয়া মাপিয়া রৌপ্য বাসন দুই ভ্ৰাতাকে বিভাগ করিয়া দেন, তখন তাহার একটী দৌহিত্র বলেন, “দাদামহাশয় আমাকে একটী রূপার গেলাস দিন, আমি জল খাইব ।” তদুত্তরে বিশ্বনাথ বলেন, “ভাই রূপার গেলাস লইয়া তুমি কি করিবে ? তোমাদের বাটী হইতে চােরে উহা চুরী করিয়া লইয়া যাইবে। আমার ভাইদিগকে দিতেছি, উহারা পুরুষানুক্ৰমে ব্যবহার করিবেন ও আমার স্মৃতিচিহ্ন বলিয়া যত্নে রাখিবেন।” এখনকার দিনে এই প্রকার সৌভ্রাত্ৰ অতি বিরল। ইহার জমিদারীর মধ্যে ভালুকা পরগণা, হাবেলী, রমজান নগর (পানিতর) বৈকারি, আবাদ পাটলী, যুবারজীপুর, আগড়পাড়া ও সাইহাটীই প্ৰধান ছিল। ধূমঘাটার অনেক জমী অনাবাদী পতিত ছিল। অন্যাপি ৬ দূৰ্গাপূজার সময় ধূমঘাটায় রাজা প্রতাপাদিত্যের কালীমন্দিরে সকল বাবুদের বাড়ী হইতে পুরোহিত, চাকর, কৰ্ম্মচারিগণ ও সমস্ত পুজোপকরণ ঈশ্বরীপূজার তিন দিনের পূজার জন্য পাঠান হয়। ইনিই প্রতাপাদিত্যের কুলদেবী। প্ৰবাদ এই,-যখন প্রতাপাদিত্য অতিশয় দুদ্ধৰ্ষ হইয়া উঠেন, তখন দেবী প্ৰতাপকে কন্যা-মূৰ্ত্তিতে দেখা দিয়া বলেন, “বাবা। আমি এখন যাই ?” প্রতাপাদিত্য দুইবার বলেন, “মা তুমি কোথায় যাইবে ? অন্দরে যাও।” বার বার তিনবারের বার মহারাজা প্রতাপাদিত্য বিরক্ত হইয়া বলেন, “যাও, চলিয়া যাও”। তৎক্ষণাৎ দেবী অন্তৰ্হিত হইলেন ও পুরোহিত আসিয়া মহারাজাকে বলিলেন, “মহারাজ এ কি সৰ্বনাশ হইল ? দেবীমূৰ্ত্তি মুখ ঘুরাইয়া লইয়াছেন।” মহারাজা প্রতাপাদিত্য গিয়া দেখিয়া শিরে করাঘাত করিয়া বসিয়া পড়িলেন ও কহিলেন, “মাতা ! তুমি সত্যই আমার অনুমতি লইয়া আমায় ত্যাগ করিয়া গেলে ! এতদিনে আমার দুর্ভাগ্যের সূচনা হইল।” মহারাজা অতিশয়