পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় রঘুনাথ দাস। স্বৰ্গীয় রঘুনাথ দাস ঢাকার একজন লক্ষপতি জমিদার ও ব্যাঙ্কার ছিলেন। তিনি ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বংশজাত। ১৮৫৭ সালে তিনি ২৮ জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতা স্বরূপচন্দ্ৰ দাস ধাৰ্ম্মিক লোক ছিলেন। তিনি প্ৰাচীনপন্থী হিন্দুদের মত সদাচারী ও ধৰ্ম্মপরায়ণ ছিলেন। র্তাহার তন পুত্র ও এক কন্যা। জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম সনাতন দাস, সনাতন বদান্যতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। রূপলাল দাস তাহার দ্বিতীয় পুত্ৰ t রঘুনাথ তদীয় কনিষ্ঠ পুত্র। অভিরাম পোদ্দার হইতে এই বংশের উৎপত্তি। তিনি অবস্থাপন্ন ছিলেন। মথুৱামোহন পোদারের সময় হইতে অবস্থা উন্নতির চরম সীমায় উপনীত হয়। বড়বাজার ৪৯ নং বঁাশতলা ষ্ট্রীটে তাহার ব্যাঙ্কের প্রধান অফিস ছিল। এই ব্যাঙ্ক ঢাকা ব্যাঙ্ক নামে পরিচিত ছিল। এই ব্যাঙ্ক হইতে প্ৰত্যহ প্ৰায় ৫ লক্ষ টাকার আদান-প্ৰদান হইত। সকাল ৭টা হইতে বেলা ১২টা অবধি এবং সন্ধ্যা ৭টা হইতে রাত্রি ১১॥০টা পৰ্য্যন্ত টাকার ঝন ঝন শব্দ কেবল শ্রুতিগোচর হইত। মথুরামোহন পোদারের ফাৰ্ম্মের সহিত অনেক মাড়োয়ারী ও পার্শী ফাৰ্ম্ম এবং অধিকাংশ ব্যাঙ্কের দেনা-পাওনা ছিল। বাঁশতলা, শিবতলা ষ্ট্ৰীট, জোড়াবাগান, হাটখোলা প্ৰভৃতি স্থানে দেশীয় ফাৰ্ম্মের মধ্যে যে সমস্ত গোলমাল হইত। তাহা এই ফাৰ্ম্মের গোমস্ত আপোষে মিটাইয়া দিতেন। এই বংশ রূপলাল দাস ও রঘুনাথ দাসের সময়ে সবিশেষ সমৃদ্ধি ও খ্যাতি লাভ করে। এই সময়ে ১৮৮৬ খ্ৰীষ্টাব্দে ভারতের তদানীন্তন বড়লাট লর্ড ডাফরিণ ঢাকা ডাল বাজারে ইহাদের সম্মিলিত প্ৰাসাদে ভোজন করিয়া ইহাদিগকে পরিতৃপ্ত করিয়াছিলেন। এই প্ৰাসাদটি বুড়ী গঙ্গার