পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাহাড়ী বাবা সুপ্ৰসিদ্ধ সাধক পাহাড়ী বাবা জৌনপুর জেলার অন্তঃপাতী প্রেমাপুর গ্রামে অযোধ্যানাথ তেওয়ারী নামক এক বৈষ্ণবের ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন । যতদিন তিনি সংসারে ছিলেন, ততদিন তাহার নাম ছিল হরভজন । হরভজন বাল্যকালে সংস্কৃত সাহিত্য ও জ্যোতিষশাস্ত্ৰাদিতে বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। ১৮৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দে হরভজন তীৰ্থপৰ্য্যটনে বাহির হন এবং শ্ৰীক্ষেত্ৰ, সেতুবন্ধ রামেশ্বর, চিদাম্বরম প্ৰভৃতি তীৰ্থ ভ্ৰমণ করিয়া গির্ণার পর্বতে গিয়া উপস্থিত হন। তথায় এক মহাপুরুষের দর্শন লাভ তাহার ভাগ্যে ঘটে। সেই মহাপুরুষের নিকট তিনি দীক্ষা লাভ করিয়া “আমি ত্ব” একেবারে বিস্মৃত হন এবং সকলের তিনি দাসানুদাস এই ভাবে সকলকে সেবা করিতে থাকেন। তিনি অহোরাত্র কেবল সন্ধ্যা, বন্দনা, পূজা, আহ্নিক লইয়া থাকিতেন। তঁহার পিতৃব্য সাধক ও পণ্ডিত ছিলেন। তিনি একটি আশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। হরভজন সেই আশ্রমে একটি গুহা নিৰ্ম্মাণ করিয়া সেইখানেই দিনরাত নিবিষ্টচিত্তে যোগ তপ প্ৰভৃতি করিতেন। গুহামধ্যে অবস্থানকালে কিছুই আহার করিতেন না, কেবল বায়ু গ্ৰহণ করিতেন। এই কারণে লোকে তঁহার পাহাড়ের মত ক্ষুধা-দমনের শক্তি দেখিয়া তাহাকে “পাহাড়ী বাবা” বলিয়া অভিহিত করিত। পাহাড়ী বাবা কখনও জটাজুট রাখিতেন না, কিংবা সৰ্ব্বাঙ্গ বিভূতিমণ্ডিতও করিতেন না। তিনি একটি মাত্র কৌপীন ও তাহার উপর একটি মাত্র আলখাল্লা পরিতেন। শুধু বায়ু ভক্ষণ করিয়া তিনি গুহামধ্যে এক বৎসর কাল পৰ্য্যন্ত অবস্থান করিতেন। ফলে সূৰ্য্যালোক Sd