१iश्ऊँी दांवां । । R8wo কেন ?” পাহাড়ী বাবা সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া তৎক্ষণাৎ আশ্রমের চাবিকাঠি সেই সন্ন্যাসীকে দিয়া নিজে কোথায় যে অদৃশ্য হইলেন, অনেক অনুসন্ধানেও তাহার। আর খোজ-খবর মিলিল না। কিছুকাল পরে জানা গেল যে, তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার ব্ৰহ্মপুর নামক স্থানে গঙ্গাতীরে একটি আশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করিয়া তথায় অবস্থান করিতেছেন। ১৩০৫ সালের ৭ই জ্যৈষ্ঠ পাহাড়ী বাবা উক্ত আশ্রমের মধ্যে প্ৰকাণ্ড হোমানল প্ৰজ্বলিত করিয়া তৎসম্মুখে উপবিষ্ট হন। আশ্রমের দ্বার রুদ্ধ, শিষ্যগণ দ্বারের নিকট অপেক্ষা করিতেছে, ক্রমে হোমানল দাউ দাউ করিয়া জলিয়া উঠিল, শিষ্যগণ কুটীর-রন্ধ দিয়া উকি মারিয়া দেখিল যে, পাহাড়ী বাবা নির্বক নিস্পন্দভাবে বসিয়া আছেন। শিষ্যগণ তদর্শনে যৎপরোনাস্তি ভীত ও চকিত হইলেন। কিন্তু কুটীরের দ্বার ত খুলিবার উপায় নাই। তাই তাহারা উৎকণ্ঠিতভাবে আশ্রম দ্বারে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন । ক্রমে হোমানল দ্বিগুণভাবে প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল, সেই হোমানলের মধ্যে পাহাড়ী বাবা ধীরে ধীরে প্রবেশ করিলেন, একটু হা-হুতাশ, একটু কাতরতা প্ৰকাশ করিলেন না। জীবন্মুক্ত মহাপুরুষের নশ্বর দেহ সেই হোমানলের শিখার মধ্যে ভস্মীভূত হইল, রহিল মাত্ৰ দেহাবশিষ্ট ভস্ম। আর রহিল তাহার ভ্রাতুষ্পপুত্র বন্দরীনারায়ণ, ভাগবতাচারী, জনাৰ্দন, ভৃগুনাথ প্রভৃতি শিষ্যগণের মধ্যে র্তাহার যোগবিভূতি। আজিও সাধকগণের মধ্যে পাহাড়ী বাবার স্থান অতি উচ্চে প্ৰতিষ্ঠিত রহিয়াছে। এখনও সহস্ৰ সহস্ৰ লোক তঁহার স্মৃতির উদ্দেশ্যে ভক্তি-শ্রদ্ধার পুষ্পাঞ্জলি প্ৰদান করিয়া থাকে।
