পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবীর কবীরের জন্মবৃত্তান্ত লইয়া অনেক লেখকের মধ্যে মতদ্বৈধ আছে। কথিত আছে, তিনি এক ব্ৰাহ্মণ বালবিধবার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। একদা রামানন্দের নিকট মথুরা নামক স্থানে এক ব্ৰাহ্মণ র্তাহার বিধবা কন্যা সমভিব্যাহারে আসিয়া উপস্থিত হন। রামানন্দ কন্যাটির হাত কিংবা মুখের দিকে না চাহিয়াই তাহাকে “পুত্ৰবতী হও” বলিয়া আশীৰ্বাদ করেন। মুক্তপুরুষের কথা কি কখনও ব্যর্থ হয় ? তিনি যে বাকসিদ্ধ ! এই বাল্যবিধবাটি কয়েকদিন পরে গর্ভবতী হয় এবং যথাসময়ে তাহার গর্ভ হইতে একটি সন্তান প্ৰসূত হয়। ব্ৰাহ্মণের বিধবা কুমারী, তাহার পক্ষে সন্তান হওয়া অত্যন্ত দোষের, লোকে জানিতে পারিলে তাহার জাতি যাইবে, মান-মৰ্য্যাদা সকলই যাইবে । তাই সেই কুমারী লোক-লজার ভয়ে সদ্যোজাত শিশুসন্তানটিকে লইয়া লতায় পাতায় জড়াইয়া এক জঙ্গলের ধারে নিক্ষেপ করিয়া পলায়ন করে। এদিকে লতাপাতার মধ্যে সেই সদ্যোজাত শিশু যখন ক্ৰন্দন করিতেছিল, তখন নুরী নামে এক জেলা সস্ত্রীক সেই পথ দিয়া যাইতেছিল। তাহারা শিশুর ক্ৰন্দন শুনিতে পাইয়া লতাপাত খুলিয়া দেখে, একটি শিশু ক্ৰন্দন করিতেছে। ইহা দেখিয়া তাহারা দয়াপরবশ হইয়া শিশুটীকে আপনি বাটীতে লইয়া গেল। নিঃসহায় শিশুর জন্য ত'হারা প্ৰাণে বড় ব্যথা পাইল এবং যে পাপীয়সী, রাক্ষসী নারী এই শিশুটিকে এইভাবে রাস্তার ধারে ফেলিয়া গিয়াছে, তাহার উদ্দেশে শত শত বার ধিক্কার দিতে লাগিল। বাস্তবিক মানুষ হইয়া যে পিশাচের মত এরূপ নৃশংস কাণ্ড করিতে পারে, জোলি-দম্পতী