পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ro ংশ-পরিচয় । চৌগ্রাম রাজবংশ অদ্যপি নিরাবিল কুলীন রহিয়াছেন এবং মহারাজ রামজীবনকে দানপত্র দ্বারা মহারাজা রামকান্তকে সমস্ত সম্পত্তি দান করিতে হইয়াছিল। রসিককান্ত রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ কৃষ্ণকান্ত চৌগ্রামে বাস করিতেন। সংস্কৃতশাস্ত্ৰে ইনি সবিশেষ বুৎপন্ন ছিলেন, অনেক পণ্ডিত ইহার দ্বারা প্ৰতিপালিত হইতেন। কৃষ্ণকান্তের পর তাহার পুত্র রুদ্রকান্ত সম্পত্তি প্ৰাপ্ত হন। ইনি অতিশয় বিচক্ষণ ও বিদ্বান ছিলেন। তৎকালে চৌগ্রামে গভৰ্ণমেণ্টের মুনসেফী আদালত ছিল এবং রুদ্রকান্ত বিচক্ষণতার সহিত বহুকাল বিচারকের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। নিঃসন্তান অবস্থায় রুদ্রকান্তের মৃত্যুর পর তাহার বিধবা পত্নী কালীময়ী দেবী রাজসাহী-খাজুরা-নিবাসী লক্ষ্মীকান্ত লাহিড়ীর পুত্রকে দত্তক গ্ৰহণ করেন। এই দত্তকপুত্ৰ রোহিণীকান্ত রায় নামে পরিচিত । রোহিণীকান্ত বিলাসী ও আড়ম্বর প্ৰিয় ছিলেন, মাত কালীময়ী দেবীর সহিত তাহার অনেক মামলা-মকৰ্দমাও হইয়াছিল। রোহিণীকান্ত চৌগ্রামে গঙ্গাপূজা ও জন্মাষ্টমী উৎসবের প্রবর্তন করেন । রোহিণীকান্তের তিন বিবাহ। ১২৭৯ সালে তাহার পরলোকপ্ৰাপ্তি হয়। তৎপর ১২৮৪ সালে তাহার প্রথমা পত্নী চন্দ্ৰমণি দেবী রাজসাহীপাটুল নিবাসী ৬/কৃপানাথ মৈত্র মহাশয়ের তৃতীয় পুত্রকে দত্তক গ্ৰহণ করেন। ইনিই চৌগ্রামের বর্তমান স্বনামখ্যাত শ্ৰীযুক্ত রমণীকান্ত রায় । রমণীকান্তের নাবালকত্ব-কালে সম্পত্তি কোট অফ ওয়ার্ডসের অধীন ছিল । ১২৯২ সালে তিনি বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইয়া সম্পত্তি নিজ হস্তে গ্ৰহণ করেন। ময়মনসিংহ কৃষ্ণপুরের কৃষ্ণপ্ৰসাদ লাহিড়ীর কন্যা সিন্ধুবালার সহিত ইহার বিবাহ হয়, কিন্তু দুঃখের বিষয়, সিন্ধুবালার গর্ভজাত তিনটি পুত্ৰই অকালে পরলোক গমন করেন, সিন্ধুবালাও স্বৰ্গগত হন। তৎপর