পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম Š ግge নিৰ্দোষী, তিনি অতি সন্ধত কাজই করিয়াছেন। অতঃপর তুকারাম স্থির করিলেন, যে সংসারে দয়া নাই, মায়া নাই, আছে কেবল পুতিগন্ধ স্বাৰ্থ, যে সংসারে কেবল টাকা টাকা করিয়া লোকজন রাত্রি দিন উন্মত্ত, সেই সংসারে তাহার না থাকা কৰ্ত্তব্য। যে উদ্যম, অধ্যবসায় ও শক্তিসামৰ্থ্য এই সমস্ত স্বার্থপর বৈষয়িক লোকের প্রতিপালনের জন্য ব্যয় করা হয়, সেই উদ্যম ও অধ্যবসায় ভগবানের প্রতি প্রয়োগ করিলে আধ্যাত্মিক হিসাবে অনেক দূর অগ্রসর হওয়া যাইতে পারে। তুকারাম র্তাহার স্ত্রীকে কোন কথা না বলিয়া আলান্দি নামক স্থানে গমন করিলেন। এই আলান্দি দেহু হইতে প্ৰায় এক ক্রোশ দূরে। এই স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য তুকারামের প্রাণে বড় ভাল লাগিল। তিনি চারিদিকে ভ্ৰমণ করেন। আর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখিয়া আনন্দ অনুভব করেন। হঠাৎ একজন কৃষকের দৃষ্টি তাহার উপর পতিত হইল। কৃষক বহুদিন হইতে একজন ক্ষেত্র-রক্ষকের অনুসন্ধান করিতেছিল। তুকারামকে বলিবামাত্ৰ তুকারাম তাহাতে রাজি হইলেন। কিন্তু তুকারামের এ কি ব্যবহার ! ক্ষেত্ররক্ষক ক্ষেত্রের শস্য রক্ষা করিবে, পাখী তাড়াইবে, ইহাই ত তাহার কাজ ! কিন্তু তাহা না করিয়া ক্ষেত্রে বিঠোবার নাম গান করিতে লাগিলেন এবং পাখীরা স্বচ্ছন্দে শস্যসমূহ খাইয়া গেলেও একটি কথাও বলিলেন না। একদিন ক্ষেত্ৰস্বামীর চক্ষে এই ঘটনা পড়িল। তিনি তুকারামকে যৎপরোনাস্তি ভৎসনা করিয়া বলিলেন, “এ কি তুকারাম ! তোমার এ কি অদ্ভুত ব্যবহার ! তুমি এইভাবে পাখী দিয়া শস্য নষ্ট করিতেছ!” তুকারাম বলিল, “পাখীরা সকলে কৃষ্ণের জীব, তাহাদিগের ক্ষুধা পাইলে কি তাহারা খাইবে না ?” অনন্তর ক্ষেত্রস্বামী পঞ্চায়তের নিকট তুকারামের নামে অভিযোগ করিল। তুকারামকে ক্ষেত্রে যত শস্য উৎপন্ন হয়, তৎসমস্তের মূল্য দিতে হইবে, পঞ্চায়ত এই সিদ্ধান্ত করেন। আশ্চৰ্য্যের বিষয়, যদিও "לצ