পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seዓ8 বংশ-পরিচয় । পাখীতে অনেক শস্য খাইয়াছিল, তত্ৰাচ সে বৎসর ক্ষেত্রে দ্বিগুণ পরিামাণে শস্য উৎপন্ন হয় । পঞ্চােয়ত এবার সিদ্ধান্ত করিলেন, এ বৎসর যে পরিমাণ শস্য উৎপন্ন হইয়াছে, সেই শস্যের চল্লিশ মণ মাত্র ক্ষেত্ৰস্বামীকে দিয়া অবশিষ্ট শস্য তুকারামকে দেওয়া হইবে। আলান্দির কতিপয় ভদ্রলোক সেই শস্য বণ্টন করিয়া তুকারামের প্রাপ্য অংশ তুকারামের বাটীতে পাঠাইয়া দিলেন। তুকারাম এইরূপে প্রচুর শস্য পাওয়ায় কন্যার বিবাহ দিলেন। কিন্তু তুকারামের মনপ্ৰাণ পড়িয়া থাকিত বিঠোবা মন্দিরে। তিনি সময় পাইলে বিঠোবা মন্দিরে গিয়া সাধনভজন করিতেন। তবে তিনি পরিবারবর্গের প্রতি কখনও উদাসীন ছিলেন না। তিনি মনে করিতেন, নাম কীৰ্ত্তন করিয়া আপনার মুক্তির পথ প্ৰশস্ত করা যেমন কৰ্ত্তব্য, তেমনি পরিবার ও পুত্ৰকন্যাদের লালনপালন করাও কৰ্ত্তব্য। তাই তিনি গাৰ্হস্থ্য আশ্রমের সহিত সংযোগ রাখিয়া সকল কাৰ্য্য করিতেন। কিন্তু তাহার স্ত্রী জিজাবাই তঁহার উপর অযথা অত্যাচার করিতেন। তুকারাম স্ত্রীর এই সমস্ত লাঞ্ছনা নীরবে সহ করিতেন। একদিন তুকারাম হাট হইতে একটি ইক্ষুদণ্ড কিনিয়া আনিয়াছিলেন, তঁহার স্ত্রী সেই ইক্ষুদণ্ড তাহার পৃষ্ঠে আঘাত করিয়া ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন । তুকারাম তাহাতে বিন্দুমাত্র ব্যথিত না হইয়া বলিলেন, “তুমি কি একাকী ইক্ষুদণ্ডখানি খাইবে না বলিয়া এমন ভাবে উহ। দ্বিখণ্ড করিলে ?” বস্তুতঃ তুকারাম স্ত্রীর অত্যাচার সত্ত্বেও স্ত্রীর কোনরূপ দোষ ধরিতেন না । কিন্তু সকল জিনিষেরই ত সীমা আছে। তুকারাম স্ত্রীর অত্যাচার অনেক সময় সহস্থ করিতে না পারিয়া বিঠোবা মন্দিরে গিয়া বসিয়া থাকিতেন । র্তাহার পুত্রকন্যাগণ অনাহারে থাকিত, এজন্য র্তাহার প্ৰাণে দারুণ ব্যথা লাগিতা বটে, কিন্তু স্ত্রীর অত্যাচার অনেক সময় তিনি সহা করিতে পারিতেন না। তঁহার নিকট অনেক ধৰ্ম্মপ্ৰাণ