পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS e - 5 ইন্দ্রনারায়ণের কনিষ্ঠ পুত্ৰ বেচারাম হালদার ১৭৮৫ খ্ৰীষ্টাব্দের ১৬ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বেচারাম বহুদিন কমিশরিয়টে কাৰ্য্য করিয়া অবশেষে জগদলে প্ৰত্যাগমন করেন এবং সুন্দরবন পৰ্য্যবেক্ষণকাৰ্য্যে রত থাকায় হঠাৎ আহত হইয়া খঞ্জ হইয়া যান। সরকার হইতে তিনি মাসিক ৫০২ টাকা পেনসন প্ৰাপ্ত হইতেন। তিনি ৩৫ বৎসর কাল সরকারী কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। যদি তিনি অসাধু হইতেন, তাহা হইলে তিনি অনেক অর্থ উপাৰ্জন করিয়া যাইতে পারিতেন । ১৮৪১ খ্ৰীষ্টাব্দে রাখালদাস হালদার তাহার পিতার সহিত বালেশ্বরে যান। তখন তিনি বালকমাত্র। তিনি প্ৰথমে বালেশ্বর স্কুলে ও তৎপরে হুগলী কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৪৮ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহার সহিত বৰ্দ্ধমান জেলার রায়না থানার চণ্ডীপুর গ্রামের শ্রোত্ৰিয় ব্ৰাহ্মণ কেনারাম রায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা কিরণকুমারীর বিবাহ হয়। বিবাহকালে কিরণকুমারীর বয়স মাত্ৰ পাচ বৎসর ছিল। ঐ বৎসরে রাখালদাসের প্রথম বাঙ্গাল কবিতা ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত-সম্পাদিত “সাধুরঞ্জন’ নামক সাপ্তাহিক পত্ৰে প্ৰকাশিত হয় । ১৮৪৮-৪৯ খ্ৰীষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত তিনি প্রভাকর, পূর্ণচন্দ্ৰোদয় ও সাধুরঞ্জন পত্রে লিখিতে থাকেন, তাহার ফলে ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তের সহিত তাহার বিশেষ পরিচয় হয় । ১৮৫০ খ্ৰীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে তিনি নিজেই “দূরবীক্ষণিক” নামক মাসিক পত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি না লইয়া উক্ত পত্ৰ প্ৰকাশিত হওয়ায় তাহার ও র্তাহার সহকৰ্ম্মীদের নামে গ্রেপ্তারী পারোয়ানা বাহির হয় ; উৰ্তাহারা ম্যাজিষ্ট্রেট ইলিয়ট সাহেবের এজলাসে উপস্থিত হন, ম্যাজিষ্ট্রেটু, তাহাদিগকে ভৎসনা করিয়া সে যাত্ৰা নিষ্কৃতি দেন। বটে, কিন্তু তাহারা ভবিষ্যতে আবার কোন বিপদে পড়েন, এই ভয়ে পত্রিকাখনি আর প্রকাশ করিবেন না বলিয়া স্থির করেন। রাখালদাসের বয়ঃক্ৰম কুড়ি বৎসর পূর্ণ হইবার পূর্বেই তিনি