পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re8 বংশ-পরিচয় হইয়াছে। গত বৎসর ম্যালেরিয়ার সময় এই ঔষধালয় হইতে দৈনিক ১৫০ রোগী বিনামূল্যে ঔষধ পাইয়া তাঁহাকে প্ৰাণ ভরিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছে। ১৯১৫ সালে প্ৰায় ৫০ ০০২ ব্যয়ে “কাৰ্ত্তিকচন্দ্ৰ দাস লাইব্রেরী” নামে একটী সাধারণ পুস্তকাগার স্থাপন করিয়া সাধারণের ধন্যবাদাহঁ হইয়াছেন। এই পুস্তকাগারটীরও সমস্ত ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করিয়া থাকেন। সূত্রগড় গ্রামে সুন্দর জলাশয়ের অভাব দূর করিবার উদ্দেশ্যে কাৰ্ত্তিকচন্দ্ৰ। ১৯২৪ সালে ৪৫,৩৮৩২ ব্যয়ে তাহার স্বৰ্গীয় মাতৃদেবীর নামে একটী বৃহৎ জলাশয় প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন। এতদ্ব্যতীত র্তাহার আরও অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দান আছে। ইনি শান্তিপুর মিউনিসিপ্যালিটী ও সুত্ৰগড় স্কুলে যথেষ্ট দান করিয়াছেন। পানীয় জলের জন্য রাস্তার পার্শ্বে কয়েকটী নলকূপ প্ৰস্তুত করাইয়া দিয়াছেন। শান্তিপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক-প্ৰতিষ্ঠায় তিনি একজন প্ৰধান উদ্যোগী এবং মিউনিসিপালিটীকেও নানাভাবে সাহায্য করিয়া আসিতেছেন। ১৯১১ সালের দিল্লী-দরবার উপলক্ষে গভর্ণমেণ্ট কাৰ্ত্তিকচন্দ্রের সৎকাৰ্য্য ও সদনুষ্ঠানের নিমিত্ত একখানি সম্মান-সুচক প্ৰশংসাপত্ৰ দান করিয়াছেন। কাৰ্ত্তিকচন্দ্ৰ বাল্যকাল হইতেই সাধুভক্ত। জনৈক মৌনী সাধুর আদেশে তিনি ৬/গণেশ জিউর একটী মন্দির নিৰ্ম্মাণ ও ৬/গণেশ মূৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন। ৬/গণেশ জিউর নিত্য পূজা ব্যতীত প্ৰতি মাসের চতুৰ্থী তিথিতে বিশেষ পূজার ব্যবস্থা আছে। সন্ধ্যার পর প্রত্যহ * মন্দিরে খোল-করতাল-সহযোগে হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তন হইয়া থাকে। উক্ত মৌনী সাধুর উদ্দেশে কাৰ্ত্তিকচন্দ্ৰ প্ৰতি বৎসর মাঘ মাসের সংক্রান্তিতে গঙ্গাতীরে একটী মহোৎসবের আয়োজন করিয়া থাকেন। তাহার বাটীতে দুগোৎসব, দোল, শ্যামাপূজা প্রভৃতি সৎকর্মের অনুষ্ঠান হইয়া থাকে।