পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ । اS0CS( কোন্নগরে ফিরিয়া যাইবার জন্য কত অনুরোধ করিলেন, কিন্তু রাখাল তাহা শুনিলেন না। ব্ৰহ্মানন্দের মনপ্রাণ ঠাকুরের চরণে বসিয়া গিয়াছিল । ঠাকুরের সহিত একত্র অবস্থানের প্রায় তিন বৎসর পরে ব্ৰহ্মানন্দ স্বামী অসুস্থ হইয়া পড়েন এবং ঠাকুরোক্স অন্যতম ভক্ত বলরাম বসুর সহিত শ্ৰীবৃন্দাবন যাত্রা করেন। ঠাকুর জগন্মাতার নিকট প্রার্থনা করিয়া বলেন, “রাখাল আমার বোকা ছেলে, কিছুই বুঝে না । কৃপা করিয়া ইহাকে সুস্থ শরীরে আমার কাছে পৌছাইয়া দেও।” মা জগদম্বা ঠাকুরের প্রার্থনায় কৰ্ণপাত করিয়াছিলেন, ঠাকুরের মানস-পুত্র রাখাল সুস্থদেহে ঠাকুরের কোলে ফিরিয়াছিলেন। স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ-সঙ্কলিত ‘শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ উপদেশ”অতি উপাদেয় গ্রন্থ। Words of the Master-Selected Precepts of Sri Ramkrishna নামে তাহার ইংরাজী অনুবাদও প্ৰকাশিত হইয়াছে। ৫ম বর্ষের “উদ্বোধন” পত্রে স্বামী ব্ৰহ্মানন্দমহারাজ “গুরু” শীর্ষক একটি প্ৰবন্ধ লেখেন, তাহাতে তিনি বলেন “গুরু শিষ্য উভয়েই বিশেষ উপযুক্ত হওয়া আবশ্যক । একই গুরুর শিষ্যগণের মধ্যে যে তারতম্যের সৃষ্টি হয়, তাহা শিষ্যের যোগ্যতানুসারেই হইয়া থাকে। আমাদের দেশে বর্তমানে গুরুভক্তি নাই বলিয়া আর তেমন শিষ্য তৈয়ারী হয় না । কাহাকেও গুরুপদে বরণ করিলে তাহার কথা বেদবাক্যাবৎ পালন করিবে, তবেই ত জীবনটা সুনিয়ন্ত্রিত ( Disciplined ) হইবে এবং শিষ্যের জীবনে গুরুর প্রভাব পড়িবে। গুরুভক্তি যদি দেশ হইতে উঠিয়া যায়, তবে ভগবানে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও নিষ্ঠা বলিয়া যে বস্তু আছে তাহা লোপ পাইবে।” ১৩২৯ সালের ৯ই বৈশাখ বেলুড়ের শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ-মঠে ব্ৰহ্মানন্দ