পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 বংশ-পরিচয় স্বামীর স্মৃতিরক্ষার্থ একটি বিশেষ পূজা ও ভোগ হইয়াছিল। ঐ দিন প্ৰায় দুই সহস্ৰ শিষ্য প্ৰসাদ পাইয়াছিলেন। ১৩২৮ সালের ২৭শে চৈত্র ব্ৰহ্মানন্দ মহারাজ মহাসমাধিযোগে দেহত্যাগ করেন। পরদিন সুপ্ৰসিদ্ধ “আনন্দ বাজার পত্রিকায় প্ৰকাশিত হয়-‘জননী জন্মভূমির ছিন্নাঞ্চল হইতে আজ যে কি উজ্জল নীলমণিটি খসিয়া পড়িল-স্থূলবুদ্ধি প্ৰাকৃতজন আমরা, তাহা বুঝিতেই পারিলাম না। স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ তাহার সিদ্ধ সাধক-জীবন লইয়া দেশের যে কত বড় একটা আধ্যাত্মিক সম্পদ ছিলেন, তাহা তাহারাই জানেন, র্যাহারা শোক-তাপ-ক্লিষ্ট হৃদয় হইয়া তাহার চরণপ্রান্তে ক্ষণকাল বসিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন। তিনি সাধনায় সিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন।” আমেরিকা-গমনের পূর্বে স্বামী বিবেকানন্দ ব্ৰহ্মানন্দ স্বামী মহারাজকে বরাহনগরস্থ শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ-মঠের সর্বময় কতৃত্বভার প্রদান করেন । তাহার প্রাণপণ সাধনায় আজ অগণ্য রামকৃষ্ণ-মঠ স্থাপিত হইয়াছে। স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ বেলুড় মঠে অসংখ্য মুক্তিকামী যুবককে প্ৰতি বৎসর ব্ৰহ্মচৰ্য্যব্ৰতে দীক্ষা দিতেন। তঁহারাই পরে তঁহার নিকট সন্ন্যাসধৰ্ম্মে দীক্ষা লাইত। এত কৰ্ম্মের ভিতর থাকিয়াও ব্ৰহ্মানন্দ সাধন ও তপস্যায় অবিচলিত ছিলেন ।