পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b- বংশ-পরিচয় । সাৰ্জন হইয়াছিলেন। লর্ড কার্জন তাহাকে “রায় বাহাদুর” উপাধিও দিয়াছিলেন । গ্রন্থাকান-দেবেন্দ্ৰনাথ চিকিৎসা-সম্বন্ধীয় কতকগুলি বাঙ্গালা পুস্তক লিখিয়াছিলেন। সেইসকল পুস্তক বঙ্গদেশের অনেক বাঙ্গালা মেডিকেল স্কুলে পঠিত হয়। র্তাহার মৃত্যুতে বঙ্গের নানাস্থানে শোকসভা হইয়াছিল এবং বঙ্গের বিখ্যাত ও গণ্যমান্য নেতৃগণ এবং সার্জন জেনারেল লিউকিস ও ডাক্তার চেম্বাস সকলেই তাহার শোক-সন্তপ্ত পরিজনবর্গের নিকট পত্ৰ দ্বারা সমবেদন জ্ঞাপন করেন। কলিকাতা ইউনিভার্সিটীি ইনষ্টিটিউটে ডাক্তার স্যার রাসবিহারী ঘোষ, সিনেট হাউসে ডাক্তার স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুলে ইনস্পেক্টর-জেনারেল জি, এফ হ্যারিস সাহেব, কলিকাতা মেডিকেল ক্লাবে ডাক্তার স্যার কৈলাসচন্দ্ৰ বসু, বেলগাছিয়া কারমাইকেল মেডিকেল কলেজে ইনস্পেক্টর জেনারেল সাহেব এবং কৃষ্ণনগর টাউনহলে নদীয়ার মহারাজা ক্ষৌণীশচন্দ্র রায় বাহদুর র্তাহার মৰ্ম্মরমূৰ্ত্তির আবরণ উন্মোচন করেন। তাহার নামে প্ৰতিবৎসর একটি স্বর্ণপদক কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্ৰ শেষ M. B. পরীক্ষায় মেডিকেল জুরিসপ্রাভেন্সে সর্বোচ্চ পদ প্ৰাপ্ত হয়েন তাহাকে দেওয়া হয় । তাহার স্মৃতি-সভায় বঙ্গদেশের মাননীয় বহু বক্তাগণ তাহার জীবনের সরলতা, কৰ্ত্তব্যপরায়ণতা, দৃঢ়সঙ্কল্পতা, স্বাধীনচিত্ততা এবং নিঃস্বাৰ্থ পরোপকারিতা সম্বন্ধে নিজ জ্ঞানে যে যাহা জানেন তাহা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । প্ৰস্পৰ্মজীবন-বাল্যকাল হইতেই দেবেন্দ্রনাথ ধৰ্ম্মকথায় বিশেষ মনোযোগ দেখাইতেন এবং যৌবনে ধৰ্ম্মতত্ত্বে আনন্দ উপভোগ করিতেন। তিনি আজীবন কৰ্ম্মক্ষেত্রে ও সংসারে থাকিয়া নীরবভাবে পরমেশ্বর স্মরণ করিয়া কৰ্ত্তব্যসকল সমাধা করিতেন। রোগীদিগের মঙ্গল-কামনায় ও