পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e-pfabs অনিষ্ট করিবার সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। কৃষ্ণদাস সম্পত্তিশালী প্ৰজা ছিলেন। তখন ইজারদারগণ প্ৰধান প্ৰজাকে জামিন রাখিয়া গ্রামের ইজারা লাইত। কৃষ্ণদাস মেনাজদিয়া গ্রামের জামিন ছিলেন। ঐ গ্রামের খাজনা বাকী পড়ায় মালিক কর্তৃক বাকী করের জন্য ১৪ হাজার টাকার ডিক্ৰী হয়। ইহার ফলে কৃষ্ণদাস দেন্দার সাব্যস্ত হন। কিছুদিন পরে ঐ ডিক্ৰী জারি দিয়া কৃষ্ণদাসের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। এই প্রকার বিপন্ন হইয়া কৃষ্ণদাস কনিষ্ঠ চারি ভ্ৰাতাসহ সাফলীডাঙ্গা ত্যাগ করিয়া উত্তর পূর্বে অবস্থিত ওড়াকান্দী গ্রামে মাতুলের জ্ঞাতি ভজরাম চৌধুরী ও রামর্চাদ চৌধুরীর বাটীতে আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন। পরে ঠাকুর ভ্রাতৃগণ ওড়াকান্দীর পূর্বপাড়ায় বিশ্বনাথ রায়ের বাটীতে যাইয়া বসতি করেন। এই বাটই বর্তমান ওড়াকান্দীর ঠাকুর বাটী। বিশ্বনাথ পবম বৈষ্ণব ছিলেন ; কিন্তু অপুত্ৰক হওয়ায় সংসার ত্যাগী হইয়া বৃন্দাবন bविश्वां शांन । ওড়াকান্দী তেলীহাটী আমিরাবাদ পরগণার অধীন। ঐ সময়ে যশোহর-নড়াইলের জমিদার রামরতন রায় ইহার মালিক ছিলেন। অদ্যাবধি নড়াইলের জমিদারগণ ইহার মালিক আছেন। কিছুকাল পরে ঠাকুর ভ্রাতৃগণ পৃথক ভাবে বাস করিতে লাগিলেন। ওড়াকান্দীর বাটীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বৈষ্ণবদাস ও স্বরূপদাস ঠাকুর বর্তমান মাদারীপুর বিলরুটি ক্যানালের পূর্বতীরস্থ সাহাপুর পরগণার অধীন পদ্মবিলা গ্রামে যাইয়া বসতি করেন। অদ্যাবধি তাহদের বংশধরগণ ধন সম্পত্তিতে প্ৰতাপান্বিত হইয়া তথায় বাস করিতেছেন। বর্তমানে ওড়াকাব্দীতে কৃষ্ণদাস, তুরিদাস এবং গৌরীদাসের বংশধরগণ বাস করিতেছেন! সম্প্রতি গৌরীদাসের দুই পৌত্র নৃপেন্দ্ৰীকৃষ্ণ ও ব্রজকিশোব ঠাকুর সানপুকুরিয়া নামক গ্রামে যাইয়া বাস করিতেছেন।