পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο বংশপরিচয় যোগেন্দ্ৰ বাবু উক্ত অভিনন্দনের উত্তরে বলেন যে, “যখন আমি প্ৰথম মজঃফরপুর আসি তখন এখানে শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের অভাব দেখিয়া আমি জগদীশ কুমার মুখোপাধ্যায়ের সহিত এক যোগে “মুখাজীর সেমিনারী” প্ৰতিষ্ঠা করি ; ইহা ছাড়া চাপম্যান বালিকাবিদ্যালয় ও ভূমিDDK DBBSS SBBBBYS gDLD SMKLK DD LL LS DBD S আমি কয়েক বৎসর জেলা বোর্ডের সদস্য ছিলাম। ১৯০৬ সালে এই সহরে প্লেগের প্রাদুর্ভাব হইলে আমি নিজের জীবন বিপন্ন করিয়া প্ৰতি কুটীরে গিয়া প্লেগাক্ৰান্ত রোগীদের সেবা পরিচর্য্যা হইতে আরম্ভ করিয়া তাহাদের কাপড়চোপড় পৰ্যন্ত জীবাণু বর্জিত (Disinfection ) করিয়া দিতাম। আমি ইন্দুর বংশ ধ্বংশ করিতেও বদ্ধপরিকর হইয়াছিলাম, এই সমস্ত কারণে প্লেগ প্রশমিত হয়। আমি সিভিল জাষ্টিসা কমিটীতে সাক্ষ্য দিয়া বলিয়াছিলাম। এদেশে বিচারে অত্যন্ত বিলম্ব হয়। আমি সমবায় ঋণদান আন্দোলনে যোগদান করিয়া ইহার কৃতকাৰ্য্যতার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করিয়াছিলাম এবং ১৯১২ সালে আমার প্ৰস্তাবানুসারে একটি বিল পাশ হইয়াছিল। “নর্থ বিহার লিবারেল এসোসিয়েসন” নামে এ প্রদেশে যে রাজনৈতিক সভা প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল, আমি তাহার সভাপতি ছিলাম, সংস্কৃত কলেজ প্ৰতিষ্ঠার জন্যও আমি চেষ্টা করিয়াছিলাম। আমি আত্মপ্ৰশংসা করিতেছি না ; আমার দৃষ্টান্তে আরও সকলে অনুপ্রাণিত হৌন ইহাই আমার অভিপ্ৰায়। বিগত ১৯৩৪ সনে উত্তর বিহার প্রাঞ্চল ভূকম্পনের ফলে বিধ্বস্ত হইলে, তিনি নিজের প্রতি বিন্দুমাত্র দৃষ্টিপাত না করিয়া অকাতরে ৰিপন্ন ব্যক্তিবর্গকে সাহায্য করেন । ইহাই তাহার নিঃস্বার্থপরতার একমাত্র পরিচয় । তঁহার কাৰ্য্যে প্ৰসন্ন হইয়া ১৯২৯ সনে মাননীয় বিহারের লাটসাহেব তাহাকে কাউন্সিলের সদস্য মনোনয়ন করেন। তথায় তিনি " ১৯২৯