পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४फुांकांनौद्ध ठांकूव्र बश्* ܘ দর্শন করিয়া পুলকিত হইতেন এবং তঁহাকে ভগবানের অবতার জ্ঞান করিয়া ভক্তিরসে আপ্লত হইতেন। শ্ৰীশ্ৰীঠাকুর ওড়াকান্দীর উত্তরে অবস্থিত জিকাবাড়ী গ্রামের লোচন চন্দ্ৰ সমাজপতির একমাত্ৰ কন্যা শান্তি দেবীকে বিবাহ করেন। সমাজপতি মহাশয় ধনবান ছিলেন। র্তাহার কোন পুত্রসন্তান না থাকায় খুব সমারোহে কন্যার বিবাহ দেন। তিনি জামাতাকে নিজ পুত্রের ন্যায় জ্ঞান করিতেন। শান্তি দেবী অসামান্য রূপবতী ও গুণবতী ছিলেন । উত্তরকালে যখন হরি ঠাকুর গৃহে থাকিয়াও বিষয় কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়াছিলেন তখন এই রমণী স্বীয় বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতা বলে সংসারের যাবতীয় কাৰ্য্য নিজেই পরিচালনা করিতেন। পিতার মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ ভ্রাত কৃষ্ণদাস সংসারের কর্তা হইলেন এবং বিষয় সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল কাৰ্য্য তাহারই উপর ন্যস্ত হইল। হরিঠাকুর কনিষ্ঠ সহোদরসহ নিজ বাটীতে একটা দোকান স্থাপন করিলেন এবং জয়নগরের বাজার হইতে গৃহস্থের আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি আমদানী করিয়া বিক্রয় করিতে লাগিলেন । ইহাতে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে বহু অর্থের সমাগম হইল। তিনি ঐ অর্থদ্বারা পরিবারের সকলকে সাহায্য করিতেন। ইহাতে দিন দিন সংসারের শ্ৰীবৃদ্ধি হইতে লাগিল। কৃষ্ণদাস সাংসারিক কাৰ্য্যের প্রতি ভ্ৰাতৃগণের এতাদৃশ মনোযোগ দেখিয়া আনন্দিত হইলেন। বৈষ্ণব ও অতিথিসেবা যথারীতি হইতে লাগিল । গৃহে পূর্ণশান্তি বিরাজ করিতে লাগিল। এই প্রকারে কিছুদিন । অতীত হইলে হরি ঠাকুরের মনে হঠাৎ একটা পরিবর্তন আসিল । তঁহার পরির্যারে কেহ কৃষিকাৰ্য্য করিতেন না । তঁহাদের সকল জমি প্ৰতিবৎসর বৰ্গ দেওয়া হইত। বৰ্গাদারগণ উহা হইতে ফসল উৎপন্ন করিয়া তাহার অংশ ঠাকুর ভ্রাতাদের প্রদান করিত। সকল অবস্থাপন্ন গৃহস্থের মধ্যে এই প্ৰথা প্ৰচলিত ছিল। হরি ঠাকুরের মনে হইল তিনি নিজহন্তে