পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ s আশ্চৰ্য্যপূর্ণ। ধৰ্ম্মজগতের ইতিহাসে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যেই অতীব অলৌকিক ঘটনার বিবরণ দৃষ্ট হয়। শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু চৈতন্যদেবের জীবনের সমস্তই আশ্চৰ্য্য ঘটনাপূর্ণ। এমন কি পাশ্চাত্য জগতের ধৰ্ম্মগুরু মীশু শ্ৰীষ্টের জন্ম, জীবনী ও কাৰ্যকলাপ সমস্তই অলৌকিক । কিন্তু তাই বলিয়া এই সমস্তের সত্যতায় কেহই সন্দিহান হন না। আর একথাও অতীব সত্য যে মানুষের শক্তি ও জ্ঞান অতি ক্ষুদ্র । সেই জ্ঞানকে জাগতিক ঘটনা সমূহের সত্যাসত্যের একটা বিচার বলিয়া মানিয়া লণ্ডয়া যাইতে পারে না। ববং এই সমস্ত নূতন নুতন ঘটনা মানুষের জ্ঞান ও শক্তিকে উত্তরোত্তর পরিবৰ্ত্তিত করিতেছে এবং ভবিষ্যতে আরও কৱিবে । শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের নামে, প্রেমে ও কীৰ্ত্তনে তঁাহার। ভক্তেবা অনুক্ষণ মাতোয়ারা থাকিত বলিয়া লোকে তাহাদিগকে “মাতুয়া” আখ্যা দিয়াছিল। অদ্যাবধি এই ভক্ত সম্প্রদায়কে “মাতুয়া সম্প্রদায়" বলা হয় এবং এই নামেই ইহারা সর্বত্র পরিচিত। আহারে, বিহারে, সুখে, দুঃখে, শয়নে, ' স্বপনে, কীৰ্ত্তনে নৰ্ত্তনে, শ্রান্তি ক্লান্তিতে, আরামে বিরামে, হা হুতাসে জীবনের শেষ নিশ্বাসে পূর্ববঙ্গে বে। হরিচাঁদের নাম জীবগণের জিহবাগ্রে উচ্চারিত হইতেছে, সেই ভােবরাজ্যেবা সোণার মানুষ, ভক্তের ন’দের গোরা, ভক্তের কিশোরী প্ৰাণবল্লভ শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের লীলাস্থল শ্ৰীশ্ৰীধাম ওড়াকান্দীতে ত্রিতাপে তাপিত লক্ষ লক্ষ নরনারী প্ৰাণের জ্বালা জুড়াইবার জন্য প্ৰতি বৎসর চৈত্রমাসে ৬/বারুণী স্নান উপলক্ষে সমবেত হইয়া প্ৰেমানন্দে মধুর হরিনাম কীৰ্ত্তন করে। সে দৃশ্য অতি মনোরম, অতি চিত্তাকর্ষক ! ঐ সময়ে ৩৪ দিন ধরিয়া শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের লীলাস্থলে হরিনামের যে প্ৰবল তরঙ্গ উখিত হয়, তাহাতে লক্ষ লক্ষ জীবকে হাবুডুবু খাইতে দেখিলে প্ৰাণে এক অভিনর ভাবের উদয় হয়। খোল, করতাল, শিঙ্গা, শঙ্খ, জয়ঢাকের বাদ্য সংযোগে হরিনামের ধবনিতে যে অব্যক্ত ওঁকার