পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ WSONSO করিলেন এবং তাহা ঠাকুর মহাশয়কে জানাইলেন। ঠাকুর মহাশয় উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় ও মিশন স্থাপনের জন্য জমি প্ৰদান করিলেন। ডাঃ মিড ক্রমশঃ মিশনবাটী, স্কুল ও তৎসহ একটী দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিলেন। এতদিনে এদেশবাসী নমঃ শূদ্রগণের এতদসম্বন্ধীয় অভাব দূরীভূত হইল। এই হাইস্কুলের নাম “ওড়াকান্দী হাইস্কুল” হইল। পরে উতা ডাঃ মিডের স্মৃতি রক্ষার জন্য “মিড হাই স্কুল” রাখা হইয়াছে। উহা স্থাপনের জন্য ঠাকুর মহাশয় জমি এবং নগদ অর্থে ১ • • • •২ হাজার টাকার উপর দান করিয়াছেন। তিনি অদ্যাবধি এই স্কুলের জীবন সদস্য (life-member ) আছেন। নমঃ শূদ্র জাতির মধ্যে ইহাই সৰ্ব্ব প্ৰথম প্ৰধান শিক্ষার কেন্দ্র এবং স্বজাতির শিক্ষার জন্য ঠাকুর মহাশয়ের এই দানই ইহার ভিত্তিস্বরূপ। এই বিদ্যালয় হইতে নমঃ শূদ্র জাতির যে কত কল্যাণ সাধিত হইয়াছে, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। গুরুচরণ ঠাকুর মহাশয়ের সহিত ডাঃ মিডের এক অতি নিকট সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল। ডাঃ মিডের সহধৰ্ম্মিণী ঠাকুর মহাশয়কে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করিতেন এবং তঁাহাকে ধৰ্ম্মপিতা বলিযাছিলেন। তিনিও মিসেস মিডকে নিজ কন্যার ন্যায় দেখিতেন। ডাঃ মিডের দুই কন্যা কুমারী ডবথি এবং কুমারী মারজরী ঠাকুর মহাশয়কে দাদামহাশয় বলিয়া সম্বোধন করিতেন। অনেক সময় মিসেস মিড ঠাকুর মহাশয়কে নিজ কুঠিতে নিমন্ত্ৰণ করিয়া ভোজন করাইতেন। তিনি গোডা নৈষ্টিক হিন্দু হইলেও বিজাতীয় ধৰ্ম্মকন্যার প্রদত্ত আহাৰ্য্য গ্ৰহণে কখনও সঙ্কোচ বোধ করিতেন না। অষ্ট্রেলিয়া হইতে যখন সংবাদ আসিল যে মিসেস মিড আর ইহYYDLD DDDS DDBB S gD DLDuYBD DDD DBBBD এবং প্ৰকাশ্য সভায় মিসেস মিডের গুণকীৰ্ত্তন করিতে করিতে অশ্রু বিসর্জন করিয়াছিলেন। ডাঃ মিডও ঠাকুর মহাশয়কে অত্যন্ত শ্ৰদ্ধা করিতেন। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন তিনি চিরতবে ভারতবর্ষ।