পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)Ög e-Pfaby এবং গবৰ্ণমেণ্ট, ও নমঃশূদ্ৰজাতি রাজভক্ত। কিনা তাহার সম্বন্ধে সন্দিহান ছিলেন। ১৯০৭ সালে ঠাকুর মহাশয় ডাঃ মিডের সহিত পরামর্শ করিয়া তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসামের ছোটলাট ল্যান্সলট হেয়ার বাহাদুরকে অভিনন্দন দেওয়া স্থির করেন। ডাঃ মিড ঐ অভিনন্দনপত্রে নমঃশূদ্র জাতির অভাব অভিযোগ সম্বন্ধে যে যে বিষয় সন্নিবেশ করা প্রয়োজন তাহা ঠাকুর মহাশয়ের সহিত পরামর্শ করিয়া নিজ হস্তে লিখিয়া দিয়াছিলেন। ফরিদপুরে যথাসময়ে ছোটলাট বাহাদুরকে অভিনন্দন দেওয়া হইল। ইহাই অনুন্নত জাতির মধ্য হইতে গবর্ণমেণ্টকে সর্বপ্রথম অভিনন্দন পত্র। ইহার পরে বাংলার নমঃশূদ্ৰ ও অন্যান্য অনুন্নত জাতিসমূহের রাজনৈতিক অধিকারের দাবী ও গবর্ণমেণ্টের চাকুরি পাইবার উপযুক্ততা গবৰ্ণমেণ্ট স্বীকার করিয়া লইয়াছিলেন। বাংলাব অনুন্নত সম্প্রদায় আজ যে রাজনৈতিক অন্দোলনে এতদূর অগ্রসর হইয়াছে এবং দিন দিন হইতেছে তাহার মুলে এই অভিনন্দন পত্র। ইং ১৯০১ সালের এবং তৎপূর্ব সেনসাস রিপোর্ট সমুহে নমঃশূদ্রদিগকে অযথা “চণ্ডাল” আখ্যা দিয়া লেখা হইত। ঠাকুর মহাশয় ইহাতে বড়ই মৰ্ম্মাহত হইয়া উহার প্রতিকারকল্পে ডাঃ মিডের সহিত পরামর্শ করিতে লাগিলেন। অতঃপর ঠাকুর মহাশয় এই ঘূণিত আখ্যা দূর করিবার জন্য তদানীন্তন সেনসাস কমিশনার গেট সাহেবের নিকট এক দরখাস্ত করিলেন। এদিকে ডাঃ মিডল নমঃ শূদ্র জাতি সম্বন্ধে উক্ত গেট সাহেবের নিকট যে রিপোর্ট পাঠাইয়াছিলেন তাহার মৰ্ম্ম এই ৪-“আমি ফরিদপুব, ঢাকা, বরিশাল, পাবনা, মৈমনসিংহ, যশোহর প্রভৃতি জিলার নমঃশূদ্রগণের মধ্যে ভ্ৰমণ করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি যে এই জাতি কখনও চণ্ডাল জাতি নহে। তথাকথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুগণ হিংসার বশবৰ্ত্তী হইয়া ইহাদের এই ঘূণিত