পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@फुांकांनौद्ध ॐांकूव्र विश्* ల আখ্যা দিয়াছে এবং উহা সেনসাসে স্থান পাইয়াছে। ‘শিক্ষার অভাবে এই জাতি৷ ইহার বিরুদ্ধে এযাবৎ কোন আন্দোলন করিতে পারে নাই। ইহাদের শ্ৰাদ্ধাদি কৰ্ম্ম এবং সমাজ বিষয়ক রীতিনীতি অনেকাংশে ব্ৰাহ্মণের রীতিনীতির ন্যায়; কিন্তু নানা কারণে ইহারা হিন্দুর সামাজিক অধিকারে বঞ্চিত হইয়া বৰ্ত্তমান শোচনীয় সামাজিক অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। ইহাদের চণ্ডাল আখ্যা অত্যন্ত গহিত এবং উহা সংশোধন করিয়া ১৯১১ সালের সেনসাস রিপোর্টে কেবল “নমঃশূদ্র” বলিয়া উল্লেখ করা উচিত।” ঠাকুর মহাশয়ের দরখাস্ত এবং ডাঃ মিডের এই বিবৃতি হইতেই নমঃশূদ্রগণের চণ্ডাল আখ্যা বিদূরিত হইয়াছে। এখন সেনসাস রিপোটে ইহাদিগকে কেবল নমঃশূদ্র বলিয়া লেখা হয়। ঠাকুর মহাশয়ের এই কাৰ্য্যের জন্য বহু সভায় নমঃশূদ্রগণ র্তাহার প্রতি তাহাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিয়াছিল। ঠিক এই সময় গবৰ্ণমেণ্ট নমঃশূদ্র জাতিকে ‘তথাকথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুগণের প্ররোচনায় অতি নিকৃষ্ট জাতি বলিয়া মনে করিত এবং জেলে ইহাদের দ্বারা অতিশয় নিকৃষ্ট কাৰ্য্য করাইত। ইহা দূর করিবাব জন্য নমঃ শূদ্রদিগের মধ্যে স্থানে স্থানে সভাসমিতি হইতে লাগিল । অতঃপর ঠাকুর মহাশয় কতিপয় স্বজাতি ভদ্রলোকসহ ফরিদপুরের ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট এই কাৰ্য্যের তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিয়া এক দরখাস্ত করেন। তাহার ফলে জেলে বা অন্য কোন স্থানে গবৰ্ণমেণ্ট নমঃ শূদ্রদিগের দ্বারা আর কোন নিকৃষ্ট কাৰ্য্য করাইত না। গবৰ্ণমেণ্ট সাকুলার জারি করিয়া বাংলার প্রত্যেক জেল হইতে ইহা অপসারিত করিয়াছেন। এজন্যও নমঃ শূদ্ৰগণ ঠাকুর মহাশয়ের নিকট তাহদের কৃতজ্ঞতা জানাইয়াছে। পূর্ব এবং পশ্চিম বঙ্গ যখন সংযুক্ত হুইল তখন লর্ড কারমাইকেল বাংলার প্রথম গবৰ্ণর হইয়া আসেন। যখন ১৯১২ সালের আগষ্ট মাসে তাহার ফরিদপুর পরিদর্শন করিবার দিন ধাৰ্য্য হইল, তখন ঠাকুর মহাশয়