পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ver 한빠-어f5 ডাঃ মিডের সহিত পরামর্শ করিয়া নমঃ শূদ্র জাতির পক্ষ হইতে গবৰ্ণর বাহাদুর সমীপে একটি ডেপুটেশন প্রেবণ করা স্থির করিলেন। এই সম্পর্কে যাবতীয় আয়োজন করিয়া ঠাকুর মহাশয়, ডাঃ মিডও কতিপয় নমঃপূদ্র ভদ্রলোক সহ ফরিদপুর যাত্ৰা করিলেন। ডাঃ মিড এই ডেপুটেসানের মুখপাত্ৰ হইলেন। তিনি ঠাকুর মহাশয়ের স্বজাতির উন্নতিকল্পে নানাবিধ চেষ্টা এবং উৎসাহ সম্বন্ধে গবৰ্ণর বাহাদুরকে অনেক কথা বলিলেন। তাহাতে লর্ড কারমাইকেল ঠাকুর মহাশয়কে বাংলার সমগ্ৰ “নমঃশূদ্র জাতির নেতা” আখ্যা প্ৰদান করেন এবং যথোচিত जन्धe कe । ইং ১৯১২ সালে পরলোকগত সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারত আগমনে দিল্লীর দরবার উপলক্ষে দেশের বিশ্বস্ত, সন্ত্রান্ত রাজভক্ত প্ৰজাদিগকে গবর্ণমেণ্ট হইতে রাজভক্তির নিদর্শন স্বৰূপ একটী কবিয়া “দরবার মেডাল” প্ৰদান করা হয়। নমঃশূদ্ৰজাতিব নেতা হিসাবে ঠাকুর মহাশয়কে গবর্ণমেণ্ট এই সন্মানে বিশেষ সন্মানিত করেন। পূর্বে নমঃশূদ্র সমাজ হইতে আর কোন ব্যক্তি এইরূপ সম্মানে সম্মানিত হইতে পারে নাই । এই সময়ে ওড়াকান্দীর নিকটবৰ্ত্তী গোপালপুব নামক স্থানে দাঙ্গা হাঙ্গামার ফলে লুঠতরাজ হয়। একারণ গবৰ্ণমেণ্ট এই অঞ্চলে পিউনিটিভ পুলিশ স্থাপনের জন্য প্ৰয়াসী হন। ঠাকুর মহাশয় ঢাকার তদানীন্তন কমিশনার মিঃ ন্যাথানের নিকট এই লুঠতরাজের যাবতীয় বিবরণ সহ এই মৰ্ম্মে এক দরখাস্ত করেন যে, উহার জন্য স্থানীয় নমঃশূদ্ৰগণ কোন প্রকারে দায়ী নহে। ইহাতে মিঃ ন্যাথান তদন্ত করিবার মানসে ওড়াকান্দী ঠাকুর বাটীতে আগমন করেন। ঠাকুর মহাশয় নমঃশূদ্র জাতির হইয়া তাহার মস্তকে ধান্য এবং দুর্ব প্ৰদান করিয়া অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন। কমিশনার বাহাদুর এই অভ্যর্থনায় প্রীত হইয়া বলিয়াছিলেন, জীবনে তিনি পূর্বে কোন ব্যক্তি দ্বারা এতদূর সম্মানিত হন নাই। তাহার তদন্তে নমঃশূদ্র