S)ፃፉù 직 어f5 উপর অবস্থিত দুর্গের চিহ্নমাত্র রহিয়াছে। সীমান্ত-রক্ষার জন্য এই দুৰ্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এখনও মাটি খুঁড়িলে প্ৰাচীন মুদ্রাদি পাওয়া যায়। ইহার ১৩ মাইল দূরে দুরে আরও দুইটী দুর্গের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া R ৭ । রোয়ামগড়-ঘাটশিলা হইতে ১০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত । মরিচার চিহ্ন এখনও বিদ্যমান আছে। এই স্থানটি ধলভূম-রাজ গভর্ণ মেণ্টের পুরাতত্ত্ব-বিভাগের হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। ৮। কাপড়গাব্দীর ঘাট-বন্ধুর পর্বতশ্রেণীর মধ্যে প্ৰায় দুইমাইল-ব্যাপী সঙ্কীর্ণ পাৰ্বত্য পথ । বগীরা এই পথ দিয়া আসিয়া বঙ্গদেশে লুণ্ঠনাদি করিত। ৯ ! নরসিংহগড়-হিকিম নরসিংহ এই দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন। এখনও গড়খাই এবং মরিচ বৰ্ত্তমান আছে। রাজা শক্রিয় এইস্থানে প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করিয়াছিলেন। নরসিংহগড়ের দশভুজা দেবীর প্রস্তরময়ী মুক্তি দ্রষ্টব্য। ধলভূমের রাজবংশ অতি প্ৰাচীন । বিন্ধ্যগিরি-শিখরস্থ ধারানগরী হইতে ১২৩২ খ্ৰীষ্টাব্দে প্ৰমার ক্ষত্ৰিয়রাজ প্রথম জগন্নাথ ধলভূমে আসিয়া আধিপত্য লাভ করার পর এই সুদীর্ঘ সাতশত পাঁচ বৎসর কাল ধলভূম তঁহার বংশধরগণের করতলগত রহিয়াছে। ১৭৭৭ খ্ৰীষ্টারের পূর্ব পৰ্যন্ত ধলভূমাধিপতিগণ স্বাধীন ছিলেন। এই সুদীর্ঘকালু বঙ্গদেশে বাস করিয়া তাহারা তাদেশীয় ভাবাপন্ন ঠাইলেও তঁহাদের সামাজিক ও পারিবারিক আচার-ব্যবহার পূর্ববৎ অনুন্ন রাখিয়াছেন। ধলভূম, জাম্বনী, ঝাড়গ্রাম, শ্যামসুন্দরপুর, খাতড়া, অম্বিকানগর, বরাহভূমি, মানভূম ও রাইপুর-এইগুলিকে ‘নয় মহাল বলে”। এই নয়ট মহাল লইয়াই তােহাঁদের সমাজ গঠিত। বিগত শতাব্দী হইতে তাঁহাদের હરે সমাজ স্বাধীন ত্রিপুরা, ময়ুরভঞ্জ, বিষ্ণুপুর, বামণ্ড প্রভৃতি স্থানের রাজ-*
