পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७फुांकांनौद्ध ठाकूद्ध बश्* 8ge করিবার অভিলাষে ঠাকুর মহাশয় “শ্ৰীশ্ৰীহরি গুরুচাঁদ মিশন” নামে একটী মিশন স্থাপন করেন। এই মিশন বাংলার অনুন্নত জাতি সমূহের অশেষ উপকার সাধন করিতেছে। কয়েক স্থানে ইহার শাখা প্ৰতিষ্ঠান স্থাপিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমানে ইহা ভক্তগণের চাদার দ্বারাই পবিচালিত হইতেছে। এই মিশন হইতে একটী মধ্য ইংরেজী বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে। উহা ঠাকুর মহাশয়ের মাতা শান্তি দেবী এবং সহধৰ্ম্মিণী সত্যভামা দেবীর নামানুসারে “দেবী শান্তি সত্যভামা মধ্য ইংরেজী বালিকা শিক্ষালয়” নাম রাখা হইয়াছে। উহাতে বৰ্ত্তমানে প্ৰায় দেড়শত ছাত্রী পাঠাভ্যাস কবিতেছে। উচ্চবর্ণের হিন্দুগণ অনুন্নত জাতিকে অস্পৃশ্য মনে করিয়া তাহাদের প্রতিষ্ঠিত দেব মন্দিরে তাহাদিগকে প্ৰবেশ করিতে দেয় না। এইজন্য এই মিশন হইতে অনুন্নতদের নিজস্ব মন্দির স্থাপনের ব্যবস্থা করা হইতেছে এবং কয়েক স্থানে কয়েকটা মন্দিরও স্থাপিত হইয়াছে। শ্ৰীশ্ৰীহারি ঠাকুরের নাম ও ধৰ্ম্ম প্রচারার্থ এই মিশন হইতে ওড়াকান্দী হাইস্কুলে ১• • • ২ টাকা দান করা হইয়াছে। ঐ টাকার সুদ হইতে প্ৰতি বৎসর প্ৰতি শ্রেণীতে একটা করিয়া বৃত্তিদানের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। যে সকল ছাত্ৰ কবিরসরাজ তারক চন্দ্ৰ প্ৰণীত “শ্ৰীশ্ৰীহবি লীলামৃত গ্রন্থের” পরীক্ষায় প্ৰতিযোগীতা করিয়া প্ৰতি শ্রেণীতে প্ৰথম হইতে পারিবে, তাহারাই ঐ বৃত্তি লাভ করিবে । বিগত ১৩৪১ সালের মাঘ মাসে মহাত্মা গান্ধি যখন হরিজন উন্নয়নকল্পে বাংলায় আগমন করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন তখন তাহার। ভ্ৰমণ তালিকায় ওড়াকান্দী ভুক্ত হইয়াছিল। কিছুদিন পূর্বে মহাত্মার সেক্রেটারী প্যারীলালজি ওড়াকান্দী ভ্ৰমণ করিতে আসিয়া শ্ৰীশ্ৰীহরি গুরু চাদ মিশন পরিদর্শন করিয়া গিয়াছেন এবং উহার উদ্দেশ্য ও কাৰ্য্যাবলী দেখিয়া উহার ভূয়সী। প্ৰশংসা করিয়াছেন। মহাত্মা গান্ধি পুনরায় বাংলা দেশে আগমন করিলে অবশ্য একবার ওড়াকান্দী পরিদর্শন করিতে আসিবেন এইরূপস্থির হইয়াছে।