পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७फुांकांनौद्ध ॐांबूद्ध दश्ष्भ 8S ইংরেজী ১৯০৫ সালে যখন স্বদেশী আন্দোলন ঘোরতররূপে দেশব্যাপী ছড়াইয়া পড়িতে লাগিল, তখন ফরিদপুর নিবাসী, ভূতপূৰ্ব্ব কংগ্রেস সভাপতি ৮ অম্বিকাচরণ মজুমদার মহাশয় ওড়াকান্দীর দক্ষিণে ঘূতকান্দি আসিয়া এক বিবাট জনসভা করেন। তাহার ফলে নমঃ শূদ্ৰগণ পতাকা হস্তে বন্দেমাতরম ধ্বনি করিতে করিতে ওড়াকান্দী ঠাকুর বাটীতে আগমন করে। তখন তথায় এক বিরাট জনসভার অধিবেশন হয়। উহার আলোচ্য বিষয় ছিল। নমঃশূদ্র জাতির স্বদেশী আন্দোলনে যোগদান করা কীৰ্ত্তব্য কি না। অনেক নমঃশূদ্র নেতা এই আন্দোলনে যোগদান করা। কৰ্ত্তব্য বলিয়া দীর্ঘ দীর্ঘ বক্তৃতা প্ৰদান করেন ; কিন্তু তখন একমাত্ৰ শশিভূষণ ঠাকুর মহাশয়ের মনে জাগরিত হইল যে ঐ আন্দোলনের সহিত নমঃপূদ্র জাতির কোন প্রকার ংস্রব রাখা কৰ্ত্তব্য নহে। তাহার কারণ নমঃশূদ্র জাতি শিক্ষায় এবং আর্থিক উন্নতিতে এতদূর পশ্চাৎপদ ছিল যে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা তাহাদিগকে অত্যন্ত ঘূণাব চক্ষে দেখিত। এই প্ৰকার ঘুণিত জাতি তাহাদিগেব সহিত সহযোগিতা করিয়া এই আন্দোলনে যোগদান করিতে পারে না, তাহা বুঝাইয়া তিনি এক বক্তৃতা করেন এবং সকল নমঃশূদ্র তঁহাদের পূৰ্ব্বসিদ্ধান্ত ত্যাগ কবিতে বাধ্য হয়। এই সময় হইতেই নমঃশূদ্রগণ সৰ্ব্ব প্রকার স্বদেশী আন্দোলন হইতে নিজেদের দূরে রাখিয়াছে এবং ১৯১০ সালের অসহযোগ আন্দোলনেও এই জাতি যোগদান করে নাই । ইহার ফলে নমঃশূদ্রগণ রাজনৈতিক অধিকার ক্রমশঃ লাভ করিয়া আসিতেছে। বর্তমান যুগে অনুন্নত হিন্দুগণ যে বুঝিতে পারিয়াছে যে তাহাদেব জন্য ব্যবস্থাপক সভায় পৃথক নির্বাচন আবশ্যক তাহাও শশিভূষণ ঠাকুর মহাশয়ের স্বদেশী আন্দোলনের বিরূদ্ধতার ফল। " ইংরেজী ১৯০৭ সালে সবরেজিষ্ট্রারের পদ লাভ করিয়া তিনি মাত্র ১• বৎসর কাল চাকুরী করিতে পারিয়াছিলেন। ঐ সময়ে তিনি ফরিদপুর গোয়ালন্দ, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বরিশাল জিলার তজুমদ্দিন