পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ (Fd ভালবাসিতেন এবং ভাল অশ্বারোহী ছিলেন। তিনি তঁাহার পিতার মৃত্যুর কিছুকাল পরে জ্যেষ্ঠভ্রাতার সহিত পিতৃসম্পত্তি সমভাগ করিয়া গোপালপুর নামক স্থানে যাইয়া বসতি করেন। তিনি নিশ্চিন্তপুরের প্রসিদ্ধ মজুমদার বংশে বিবাহ করিয়াছিলেন। র্তাহার দুই পুত্ৰ আদিত্যকুমার ও যতীন্দ্ৰনাথ ও এক কন্যা সরোজিনী। যতীন্দ্ৰ নাথ পঠদ্দশাতেই কালগ্ৰাসে পতিত হন। পাঠিকেলবাড়ী নিবাসী শ্ৰীযুত নিবারণ চন্দ্ৰ বিশ্বাস সরোজিনীকে বিবাহ করেন। ১৩৩৬ সালে উমাচরণ ঠাকুব মহাশয় মানবলীলা সংবরণ কবেন। শ্ৰী আদিত্যকুমার ঠাকুর তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ আদিত্য কুমার ঠাকুর ১২৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল স্কুল হইতে ডাক্তারী পাশ করিয়া নডাগাতী এবং তারাইল নামক স্থানে কৃতিত্বেব সহিত ডাক্তারী ব্যবসায় কবেন। তাবাইলে তঁাহাব খুব বড দোকান ছিল। তিনি কলিকাতা হইতে অনেক দ্রব্য আনিয়া আমদানী করিতেন এবং উহা বিক্রয় করিয়া বিশেষ লাভবান হইয়াছিলেন। তিনি পরে সাংসারিক কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করেন। তিনি ওড়াকান্দী ইউনিয়ন বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ঐ সময়ে তিনি গ্রামে অনেক রাস্ত ঘাট করাইয়া জনসাধারণের প্রভূত উপকার সাধন করেন। তিনি এজন্য গবৰ্ণমেণ্টের নিকট হইতে প্ৰথম শ্রেণীর প্রশংসাপত্ৰ প্ৰাপ্ত হন। তিনি কিছুকাল ওড়াকান্দী স্কুলের প্রেসিডেণ্ট ছিলেন এবং স্কুলের মঙ্গলের জন্য বহু পরিশ্রম করেন। পল্লীর উন্নতির জন্যও তিনি সর্বদা চেষ্টা করেন। তিনি রাউৎখামার নিবাসী ৮দীননাথ বিশ্বাসেব একমাত্র কুন্য গায়ন্ত্রি দেবীকে বিবাহ করেন। তাহার এক পুত্ৰ অতুল চন্দ্ৰ ঠাকুর ও তিন কন্যা-বিদ্যুৎলতা, শ্ৰীতিলতা ও আশালতা ।