পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ ܠܟܠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। পরে পুনঃ কলিকাতায় গমন করিয়া তিনি পূর্বোক্ত কলেজে চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণী পৰ্যন্ত পড়িয়াছিলেন ; কিন্তু সাংসারিক নানাপ্রকার অভাবে তাঁহাকে চিরতরে অধ্যয়ন ত্যাগ করিতে হয়। তিনি সাতপাড় নামক স্থানে মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয়ের প্ৰধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। এই সময় হইতে তিনি দেশ ও জনহিতকর কাৰ্য্যে ব্ৰতী হন। অল্পদিনের মধ্যেই তাহার চেষ্টায় সাতপাড় গ্রামে একটা পোষ্টাফিস ও একটী ষ্টীমার ষ্টেশন স্থাপিত হয়। ইহার কিছু কাল পরে তিনি ২৪ পরগণার বশিরহাট মহকুমার অন্তৰ্গত সফিরাবাদ নামক স্থানে একটা স্কুলে শিক্ষক নিযুক্ত হন এবং ঐ অঞ্চলে নমঃশূদ্ৰ জাতিব মধ্যে ব্যাপকভাবে শিক্ষা বিস্তাব করেন । এই সময়ে পূৰ্ব্বোক্ত রাহুথড় গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি র্তাহাকে ঐ গ্রামে একটা মঠ ও আশ্রম স্থাপন করিতে অনুরোধ করেন। তিনি সফিরাবাদ ছাড়িয়া রাহুথড় আসিলেন এবং সকলের সমবেত চেষ্টায় ঐ স্তানে একটি মঠ ও আশ্রম স্থাপন করিলেন। ঐ মঠের সন্নিহিত স্থানে তিনি জেলা বোর্ডের সাহায্যে একটা প্ৰকাণ্ড দিঘি খনন এবং বোগীদিগকে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করিবার জন্য একটা দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন । বাংলা ১৩৩৪ সালে ১৮ই বৈশাখ রাহুথাড় মঠে যে বঙ্গীয় জন শক্তি মহাসভার অধিবেশন হইয়াছিল, নগেন্দ্ৰ নাথ তাহার অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি নিৰ্বাচিত হইয়াছিলেন। ঐ সভায় আচাৰ্য্য প্ৰফুল্ল চন্দ্র রায় সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন । নড়াইলের জমিদার শ্ৰীযুত ধীরেন্দ্ৰ নাথ রায়, মাদারীপুরের উকীল শ্ৰীযুত সুরেন্দ্ৰ নাথ বিশ্বাস এবং কুমিল্লা অভয়াশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ সুরেশ চন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণ ঐ সভায় উপস্থিত ছিলেন। নগেন্দ্ৰ নাথ ১৩৩৫ সালে বলুগ্ৰাম তেঁতুলিয়া খাল সংস্কার সমিতি স্থাপন করেন ; উহাতে