পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় রায় বাহাদুর কৃপানাথ দত্ত যখন তিনি সিউড়ী বীরভূমে ১৯০৫-৭ সাল অবধি জেলা সাবরেজিষ্ট্রার ছিলেন, তখন তত্ৰত্য শিল্প ও কৃষি প্ৰদৰ্শনীর যুগ সম্পাদক ছিলেন। তঁহার কৰ্ত্তব্যপরায়ণতা এত আন্তরিক ছিল যে তিনি রাত্রিকালীন আহাৰ্য্য আহারের জন্য বাসায় যাইবার অবকাশ পাইতেন না. डथांश आनादेश थादेcडभ । বৃদ্ধ বয়সে তিনি অনেক সামাজিক প্ৰতিষ্ঠানে যোগদান করিলেও কখনও তথায় কোন খাদ্য পানীয় গ্ৰহণ করিতেন না। এইজন্য তিনি আমরণ স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখিতে পারিয়াছিলেন। তঁহার সহিত সরকারী উচ্চপদস্থ অনেক কৰ্ম্মচারীর সাক্ষাৎ হইত। হাইকোটের অনেক বিচারপতি, এমন কি প্ৰধান বিচারপতিকে পৰ্যন্ত রেজেষ্টারী কাৰ্য্যের জন্য র্তাহার নিকট আসিতে হইত। এক সময়ে বিচারপতি মিঃ চিটি একখানি দলিল রেজেষ্টারী করিবার জন্য র্তাহার এজলাসে আসিয়া দেখেন যে, কৃপানাথ বাবু এজলাসে নাই। তখন মিঃ চিটি সবরেজিষ্ট্রারের ঘরে তাহা রেজেক্ট করিতে যান সাবরেজোষ্ট্রার মহাশয় বিচারপতি মিঃ চিটিকে দেখিয়া একেবারে হতভম্ব ও কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়েন এবং মিঃ চিটির কথার কোন জবাব দিতে পারেন না । মিঃ চিটি সাবরেজিষ্টারের মৌনাবলম্বন দর্শনে বললেন, “আপনি কি ইংরাজী জানেন না ?” ঠিক সেই সময়ে রায় বাহাদুর কৃপানাথ সাব-রেজিষ্টারের ঘরে আসিয়া মিঃ চিটিকে নিজের এজলাসে লইয়া গেলেন। সাব-রেজিষ্ট্রার সোয়াস্তির নিশ্বাস ফেলিয়া বঁচিলেন । আর একবার মিঃ চিটি ১১টার কিছু পূর্বে রায় বাহাদুরের এজলাসে আসিয়া পাইচারী করিতে লাগিলেন। রায় বাহাদুর। এজলাসে আসিলে হাসিতে হাসিতে মিঃ চিটি তাহার ঘড়ি ও বাহির করিয়া বলিলেন, “আপনি তিন মিনিট বিলম্বে আসিয়াছেন।” এই বলিয়া মিঃ চিটি তাহার কাজে সারিয়া চলিয়া গেলেন ।