পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় হরিমোহন ঠাকুর। ܠܸܟ বন্ধুগণ উপহার পাইয়া কষ্ট সৃষ্ট প্রশংসার মুষ্টি বিতরণ করিয়া লেখিকাকে ধন্য করিবেন। এ দুরাশা। এ কবিতাগুলি প্ৰকাশের কারণ নহে। লেখিকার ন্যায় নিভৃত শাস্তি অন্বেষী বিদূষী মহিলা ধনী সংসারে অল্পই দেখা যায়। র্তাহার মৰ্ম্মস্থানে দারুণ আঘাতে অপূর্ব অমৃতের উৎস সৃষ্ট হইয়াছে; আঘাত ঘর্ষণ দহন এ অদ্ভুত সৃষ্টির বড় উপযোগী। শ্ৰীভগবান বলিয়াছেন যেষামহমনুগুহামি হরিষ্যে তদ্ধনং শনৈঃ অন্তর জ্বালায় পরম ঔষধ জ্ঞানে শ্ৰীভগবানের রাতুল চরণে কায়মনোবাক্যে শরণ লওয়াই শ্রেষ্ঠ অথচ “শ্রেয়াঃ” ব্যবস্থা বুঝিয়াছেন । এ কবিতাগুলি সে সমর্পণের ফল। পাঠক তদগতচিত্তে পরম সুখানুভূতি লাভ করিবেন সন্দেহ নাই। প্ৰচলিত শ্রেণীর আবর্জন। এ কবিতাবলীর মধ্যে স্থান পায় নাই। সাহিত্যানুশীলনের নামে শীলতার উপর যে নিত্য পদাঘাতের আয়োজন চাইতেছে, তাহার চিহ্নমাত্ৰও নাই । ভাষা ভাঙ্গিয়া গুড়াইয়া যাদুকরীর ব্যবস্থা হয় নাই, ঘন “স বুজ’ ছায়ার সান্নিধ্যেও এ প্রলোভন ত্যাগ বড় সহজ সংযমের চিহ্ন নহে । সংযম, সারল্য ও স্বাভাবিকতা এ কবিতাগুলির মূল মন্ত্র। ইহাই কবিতাগুলির বিশেষত্ব। চৰ্ব্বিত চৰ্বনের চেষ্টামাত্ৰ নাই, গতানুগতিক ভাবের সম্পূর্ণ বর্জন হইয়াছে। যাহা মনে আসিয়াছে তাহা লিখিয়াছেন ; তাহা বলিয়া যথেচ্ছ লিখেন নাই। উদাম উচ্ছঙ্খলতা আজ গদ্যে, পন্থে, গদ্যে-পদ্যে ও পস্থ্যে-গদ্যে বাঙ্গালী ভাষা সাহিত্য ও সমাজের ষে সৰ্ব্বনাশের চেষ্টা করিতেছে তাহার কণামাত্রও এ কবিতাগুলিতে স্থান পায় নাই । ভাবের খাতিরে ভাষার বলিদান হয় নাই, ভাষার অনুরোধে ভাবি জগদল “পাথরে চাপা পড়িয়া” পঙ্গু নহে। অথচ সকল কবিতাগুলিই সরল, সহজ, সরস-স্থিানে স্থানে “আঁতের কথা টানিয়া” আনিয়াছে, স্থানে