পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মণনাথের মহাশয় বংশ । R যায়। ঝড় বাতাসের জন্যও তঁহারা আর অগ্রসর হইতে পারেন না । এই সময়ে রামচন্দ্ৰ বালিতে অবস্থান করিতেছিলেন । তিনি এক সপ্তাহ কাল খাদ্য সম্ভাৱ দিয়া সৈন্যদিগকে সাহায্য করেন । ইহাতে মোগল সেনাপতি মুনিরাম খাঁ রামচন্দ্রের প্রতি সাতিশয় সন্তুষ্ট হন। ১৫৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে মুনিরাম খ্যার নেতৃত্বে পরিচালিত মোগল সৈন্যের সহিত এবং দায়ুদের নেতৃত্বে পরিচালিত পাঠান সৈন্যের যুদ্ধ হয়। দাঁতন ও বালেশ্বরের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে এই যুদ্ধ হইয়াছিল। এখানে পাঠানেরা সম্পূর্ণ পরাস্থ হয়। যুদ্ধান্তে মোগল সেনাপতি রামচন্দ্ৰ খাকে জলেশ্বরে থাকিতে অনুরোধ করেন। মুনিরাম খাঁ কটকে যান, তথায় দায়ুজ ধায়ের সহিত তাহার সন্ধি হয়। দায়ুদ মোগলদিগকে বঙ্গ ও বিহারের দাবী ছাড়িয়া দেন, আর মোগলের তৎপরিবর্তে দায়ুদকে উড়িষ্যার রাজা বলিয়া স্বীকার করিয়া লন । ১৫৭৫ খৃষ্টাব্দে দায়ুদ খাঁ বঙ্গদেশ আক্রমন করেন এবং মুনিরাম খাঁর মৃত্যুর পর তিনি বঙ্গদেশ অধিকার করেন। ১৫৭৮ খ্ৰীষ্টাব্দে মোগল সৈন্ত কর্তৃক দায়ুদ খাঁ নিহত হন এবং হুগলী চন্দনেশ্বরের নিকট পাঠানেরা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়। এই যুদ্ধে রামচন্দ্ৰ মোগল সম্রাটকে সহায়তা করেন। মোগল সেনাপতি তাহাকে “পঞ্চসতী মনসবদার” পদে অভিষিক্ত করিয়া তাহাকে স্থায়ীভাবে জলেশ্বরে থাকিতে আজ্ঞা করেন এবং পাঠানদের গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রাখিতে বলেন। এ বিষয়ে ২৫ বর্ষের সাহিত্য পত্রিকার ১১শ সংখ্যায় ‘আকবরের হিন্দু সেনাপতি।” শীর্ষক প্ৰবন্ধে প্ৰকাশিত হয় যে, “রাজা রামচন্দ্ৰ খান আকবরের পাঁচশতী মনসবদার ছিলেন” । ১৫৭৮ খৃষ্টাব্দে রামচন্দ্ৰ খান স্বৰ্গারোহণ করেন। তঁহার পৌত্র জগন্নাথ রায় সদর কানুনগোর পদ প্ৰাপ্ত হন এবং নিস্কর মৌজা কুমারকুল ও অন্যান্য মৌজা নবাব আহাতসাম খায়ের নিকট হইতে পান। কোন