8 ংশ পরিচয় ৪র্থ খণ্ড । আন্দোলনে যোগদান করিতে থাকেন এবং নাটোরে যে প্ৰাদেশিক কনফারেনাস হয় সেই কনফারেনসের সভাপতি নিৰ্বাচিত হন। কিন্তু তিনি, নির্জন জীবন যাপন করিতে অধিক অভিলাষী বলিয়া শীঘ্রই রাষ্ট্ৰক্ষেত্ৰ পরিত্যাগ করেন। তিনি কুষ্ঠিয়া ও কুষ্ঠিয়াবাসিগণের উন্নতি কল্পে ও হিতার্থে অনেক টাকা দান করিয়াছিলেন, তাহ অপরিশোধনীয়। তিনি ইংলণ্ড হইতে সিবিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া দেশে প্রত্যাবর্তন করিলে কবিবর মাইকেল মধুসুদন দত্ত লিখিয়াছিলেন “সুরপুরে সশরীরে শূর কুলপতি, অর্জন, স্বকাজ যথা সাধি” পুণ্যাবলে, ফিরিলা কানন বাসে, তুমি হে তেমতি কত স্থানে ফিরি। এবে ভারত মণ্ডলেমনোন্দ্যানে আশালতা তব ফলবতী ধন্য ভাগ্য হে সুভগা, তব ভাবতলে ।” সত্যেন্দ্ৰনাথ নীরবে সাধনা করিয়াছিলেন এবং সে সাধনার ফল নীরবেই দেশ মাতৃকার পায়ে অৰ্পণ করিয়া আপনি ধন্য হইয়াছিলেন এবং দেশকে ধন্য করিয়াছিলেন । তিনি স্ত্রীশিক্ষা ও স্বাধীনতার জন্য আজীবন চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাহার পূর্বে পর্দা প্রথার অত্যন্ত কঠোরতা ছিল, সত্যেন্দ্রনাথের চেষ্টার ফলে কলিকাতার সন্ত্রান্ত বংশীয় লোকেরা সর্ব প্ৰথমে সন্ত্রীক সভা সমিতিতে উপস্থিত হইতে আরম্ভ করেন। “ভারতী” পত্রিকায় তাহার অনেক সুচিন্তিত সন্দর্ভ প্ৰকাশিত হষ্টয়াছিল। তিনি প্রবাসীতে “আমার বোম্বাই প্রবাস” নাম দিয়া তাহার দীর্ঘ কৰ্ম্মময় জীবনের ইতিহাস লিখিয়াছিলেন। “স্ত্রী স্বাধীনতা” নামক তাহার পুস্তকখানিতে স্ত্রীস্বাধীনতার তিনি যে পক্ষপাতী ছিলেন তাহা প্রমাণিত হইয়াছে। বোম্বাইচিত্র, বৌদ্ধধৰ্ম্ম, নবরত্নমালা, শ্ৰীমদ্ভগবদগীতার,
পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯
অবয়ব