পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮চন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়। ROS ১৯ সংখ্যক সিপাহি পদাতিক দল দমদমা হইতে বহরমপুরে প্রেরিত হয়। সেখানে তাহার একদিন অবাধ্যতা প্ৰকাশ করায়, সৈনিক দণ্ডবিধি অনুসারে তাহদের অস্ত্ৰাদি কাড়িয়া লইয়া, সৈন্যদল হইতে বহিস্কৃত করিয়া - দণ্ডিত করা হইবে, কর্তৃপক্ষ এইরূপ স্থির করেন। এই দণ্ড দিবার উদ্দেশ্যে তাহাদিগকে বারাসতে আনিয়া স্বতন্ত্রভাবে রাখা হয়। এই ব্যাপারে সিপাহিরা একটা গুরুত্তর কিছু করিবে এইরূপ ‘আশঙ্কা অনেককেই উত্তেজিত ও উদ্বিগ্ন করে। এমন কি, ব্যারাকপুর নিরাপদ নয় মনে করিয়া, মেম সাহেবদিগকে কলিকাতায় আনা হয়। সকলেই শুনিল যে ইং ১৮৫৭ সালের ৩১শে মার্চ তারিখের প্রাতঃকালে ব্যারাকপুরে ১৯ সংখ্যক সিপাহি পদাতিক সৈন্যদলকে দণ্ডিত করা হইবে। তখন প্রেসিডেন্সি বিভাগে যত অশ্বারোহী, গোলন্দাজ ও পদাতিক সিপাহি ও গোরা ফৌজ ছিল ও ছোট বড় যত সৈন্তাধ্যক্ষ ছিল, সকলকে ব্যারাকপুরের মাঠে। ঐ দিনে উপস্থিত থাকিতে আদেশ দেওয়া হইল । সৈনিক বিভাগ ভিন্ন কোম্পানীর অন্যান্ত বিভাগের উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীদেরও উপস্থিত থাকিতে অনুরোধ করা হইল। জনসাধারণও ইচ্ছা! করিলে উপস্থিত থাকিতে পারে এরূপ ঘোষণা দেওয়া হইল। কিন্তু সেরূপ উৎসাহ দেখা গেলনা, বিশেষ জনতা হয় নাই ৷ সাহেবেরাও অনেকে উপস্থিত থাকা বিপজ্জনক মনে করিয়াছিলেন । কারণ তাহার ২১ দিন পূর্বে ৩৪ সংখ্যক সিপাহি পদাতিক দলের মঙ্গল পাড়ের বিদ্রোহ ও তাহার শোচনীয় আত্মহত্যার কথা সকলেই শুনিয়াছিলেন । ধনী সম্প্রদায়ের অনেকেই নিজ নিজ আবাস।বাটী রক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা করিতে ব্যস্ত হইলেন । উপস্থিত অনেকের মুখেই আতঙ্কের ছায়া দেখা গেল। চন্দ্রমোহন কিন্তু কটিদেশে তরবারী ঝুলাইয়া পিস্তল হাতে অশ্বপুষ্ঠে ব্যারাকপুরে উপস্থিত ছিলেন। সিপাহিদের যখন অস্ত্ৰাদি ও সামরিক চিহ্নাদি কড়িয়া লইবার আদেশ হইল, তাহারা শান্তভাবে নিজেরাই সমস্ত