학(家) f5 || কোম্পানীর এবং ইষ্টারণ ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানীর এবং অন্যান্ত কোম্পানীর সেয়ারের ও কোম্পানীর কাগজের কেনা বেচা ও তেজারিতি করিয়া ধন সঞ্চয় করিতে থাকেন। যখন মদনমোহন নিমক মহলের প্রধান কৰ্ম্মচারী তখন প্লাউড়েন সাহেব কালেক্টর। তঁহার প্রসন্ন দৃষ্টি মদন মোহনের উপর পতিত হইল । উপর্যসুপিরি কয়েকটি বিষয়ে মদন মোহনের সততার ও নিলুব্ধতার পরিচয় পাষ্টয়া তিনি বিশেষ সন্তুষ্ট হন। এবং এরূপ লোককে বড় মানুষ করিতে পারা যায়। কিনা তাহার পরীক্ষায় কৃতসঙ্কল্প হন। সেই সময়ে রাজস্ব সংক্রান্ত আইনের কঠোরতায় প্রায়ই বাংলার জমিদারবর্গের জমিদারী নিলামে উঠিত এবং নিলাম স্থগিত রাখা ও রদ করিয়া দিবার সর্ববিধ ক্ষমতা কলেক্টর সাহেবের সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন ছিল। জমিদারী সেরেস্তার প্রচলিত নিয়মের অনুকরণে কালেক্টর প্লাউড়েন নিয়ম করিলেন যে নিলাম স্থগিত বাবদ প্রার্থনা করিতে হইলে দরখাস্তের সহিত আমলান তহরি বাবদে টাকা জমা দিতে হইবে। এই টাকার পরিমাণ প্ৰত্যেক দরখাস্তে কলেক্টর সাহেব ধাৰ্য্য করিয়া দিতেন । কলেক্টর প্লাউডেন সাহেব এইরূপ নিয়ম করিয়া দিলেন যে এই টাকার বার আনা অংশ মদন মোহন ও বাকি চার মানা অংশ অনু্যাগ্য কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে বিভাগ হইবে। এই ব্যবস্থায় মদন মোহনের যথেষ্ট অর্থাগম হইতে লাগিল। মাতুল দ্বারকানাথ ঠাকুর যখন শুনিলেন যে মদনমোহনের নগদ দশহাজার টাকা সঞ্চয় হইয়াছে, তখন তিনি মদনমোহনকে স্বতন্ত্র আঘাস বাটী নিৰ্ম্মাণ করিতে পরামর্শ দেন। মদনমোহন কিন্তু প্ৰথমে মাতুলালয় ত্যাগ করিয়া স্বতন্ত্র বাস করিতে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করেন। এই সময় মদনমোহনের পিতা ভোলানাথ সন্ন্যাসী হইয়া নানা তীৰ্থ ভ্ৰমণের পর জন্মভূমি দর্শন করিতে বঙ্গদেশে আসেন ও প্ৰব্ৰাজ্য গ্রহণের পর গৃহবাস করা শাস্ত্ৰ মতে প্ৰশস্ত নয় বলিয়া কালীঘাটে দেবী পূজা করিয়া ঠনঠনের কালী বাড়ীতে থাকিয়া পুত্রদের সংবাদ দেন। পুত্রের সাক্ষাৎ করিলে
পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৫
অবয়ব