বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্থ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদনমোহন চট্টোপাধ্যায় বংশ। २२७'() হইতে অবসর লন। ওকালতি হইতে অবসর লাইবার ৩৪ বৎসর পর বাবুলাল আগরওয়ালার দেবোত্তর ষ্টেটের ট্রাষ্টি আদালত হইতে মনোনীত হন। বিপ্ৰেন্দ্রনাথ জীবনের অবশিষ্ট কয়েক বৎসর বাবুলাল ষ্টেটের ট্রাষ্টি ছিলেন। ট্রাষ্টিদের ব্যবস্থায় বাবুলালের প্রতিষ্ঠিত কলিকাতা দেবালয়ের ও মথুরার মন্দিরের নিত্য নৈমিত্যিক পূজাদির সর্ববিধ কাৰ্য্য আমুল পরিবৰ্ত্তিত হইয়া সুশৃঙ্খলভাবে সুসম্পন্ন হইতেছে। বিদেশাগত ব্যক্তিদের কলিকাতায় অবস্থানের সুবিধার জন্য বাবুলাল আগরওয়ালার ট্ৰাষ্ট হইতে বড়বাজার হারিসন রোডে একটী ধৰ্ম্মশালা প্ৰতিষ্ঠিত হয় । এই কাৰ্য্যে বিপ্রেন্দ্রনাথ যথেষ্ট উৎসাহ লইয়া প্রচুর পরিশ্রম করিয়াছিলেন। ট্রষ্টিদিগের সুব্যবস্থায় বাবুলালের প্রতিষ্ঠিত নবদ্বীপের টোলের এবং বাবুলালের ষ্ট্রেটের সর্বাঙ্গীন উন্নতি হইয়াছে। সন। ১২৭৫ সালে কলিকাতানিবাসী তারিণীচরণ মুখোপাধ্যায়ের কন্যার সহিত বিপ্ৰেন্দ্ৰনাথের বিবাহ হয়। - ২৮১ সালে বিপ্ৰেৱন্দ্রনাথেয়। এই পত্নী একটি শিশু কন্যা। রাখিয়া পরলোক গমন করেন। উত্তরকালে এই কন্যার সহিত ফুলিয়ার মুখুটি শিবাচাৰ্য্য ঠাকুরের সন্তান রামবল্লভ ঠাকুরের দৌহিত্র নবীন চন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়ের পুত্ৰ নলিনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ হয় । নলিনচন্দ্ৰ কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর সহকারী কোষাধ্যক্ষরূপে বহুজন পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিলেন বিপ্ৰেন্দ্ৰনাথের পত্নী বিয়োগের পর বিপ্ৰেন্দ্ৰনাথ তঁহার মাতার নির্বন্ধতিশয্যে ফুলিয়ামেলী রামেশ্বরের সন্তান যোগেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যাকে বিবাহ করেন এই কন্যা মহারাজা রমনাথ ঠাকুরের দৌহিত্রী পুত্রী। এই পত্নীর গর্ভে বিপ্ৰেন্দ্রনাথের অনেকগুলি সন্তান সন্ততি হয়, কিন্তু দুইটী কন্যা ও একটি পুত্র ব্যতীত সকলেই শৈশবে কালগ্ৰাসে পতিত হয়। তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ কন্যার সহিত ফুলিয়ার মুখুটি নীলকণ্ঠ ঠাকুরের সন্তান সুবর্ণপুর নিবাসী মতিলাল মুখোপাধ্যায়ের পুত্র বন্ধুলাল মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ