পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ዓህሙ বংশ-পরিচয় প্ৰসন্নকুমারের বয়স যখন ১৫ বৎসর, সেই সময়ে তাহার পিতৃৰ তাহাকে লবণ-গোলায় চাকুরী লাইতে বাধ্য করেন। পড়াশুনা ছাড়িয়া এত অল্প বয়সে চাকুরী করিবার তাহার ইচ্ছা ছিল না ; কিন্তু পিতৃব্যের আদেশ তিনি উপেক্ষা করিলেন না । তিনি চাকুরী করিতে আরম্ভ করিলেন এবং সেই সঙ্গে অবসর পাইলেই বন্ধু-বান্ধবের নিকট যাইয়া ইংরাজী ও আরবী ভাষা শিক্ষা করিতে লাগিলেন। শিবপুর-নিবাসী সব ছ জ অমৃঙলাল পাল গৃহাশয় প্ৰসন্নকুমারের বিদ্যাশিক্ষায় অনুরাগ এওঁ আগ্ৰহ দেখিয়া তাহাকে সবিশেষ স্নেহের চক্ষে দেখিতেন । প্ৰসন্নকুমার তাহার নিকটে ইংরাজী শিখিলেন এবং ত:হার জনৈক মুসলমান বন্ধুব নিকটে আরবী ভাষা শিক্ষা করি ও না । ১৮ বৎসর বয়সের সময়ে প্ৰসন্নকুমাব ইষ্ট ইণ্ডিযান রেলওয়ের : গণ্ডম্ভ ষ্টেশনে কেরাণী নি যুক্ত হল । ক’ত্তব্যনিষ্টা, অধ্যবসায়, শ্রমশীলত! ও সাধুতার জন্য তিনি শীঘ্রই উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্ম চাবিগণের দৃষ্টি আকর্ষণ কাবেল BBD DD DBB BBB BBuD YDBB KED 0 DDD DDBDBD SDDDB বদলি করা হয়। এই সময়ে এমন একটি ঘটনা! ঘটে যাহান্তে প্ৰসন্নকুমাবের কৰ্ত্তব্য-বোধ, দায়িত্বজ্ঞান ও সর্বোপরি সাধুতার বিষয় ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে কতৃপক্ষেব গোচরীভূত হয় । ঘটনাটি এইঃ- একদিন সন্ধ্যার সময়ে গবৰ্ণমেণ্টের জনৈক উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী ট্রেণের প্রথম শ্রেণীর কক্ষে একটি পর্শেল বা পুলিন্দা ভুলিয। ফেলিয়া যান । এলাহাবাদে এক কুলী ট্রেণের এই কক্ষটি পরিষ্কার করিবার সময় পার্শেলটি পায় । ইহ। দেখিয়া কুলীর ধাবণ প্রায় যে, ইeাব ভিতর মূল্যবান জিনিস আছে। তখনই সে পাৰ্ণেলটী আনিয়া প্ৰসন্নবাবুর্ব হাতে দেয় এবং রেলওয়ের অন্যান্য কৰ্ম্মচারীকে ও সে এই কথা বলে । ই: { শুনিয়াই এই কৰ্ম্মচারীরা প্ৰসন্নবাবুর নিকট তত্ত্বরিতপদে আসেন এবং বলেন,-“পার্শেলচীর মা বাপ কেউ নাই ; আসুন, এটাকে ভেঙ্গে ফেলে