মহারাজা সুখময় রায় বাহাদুর Տ Գ লর্ড ক্লাইবের অনুরোধে লক্ষ্মীকান্ত ধর মহাশয় তাহাকে সাতলক্ষ টাকা দিয়া ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির তাৎকালিক অসুবিধা দূর করিয়া অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়াছিলেন। লক্ষ্মীকান্ত ধর মহাশয় লর্ড ক্লাইবকে সময় অসময়ে কেবলমাত্র অর্থসাহায্য করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন না, সৎপরামর্শান্দি ও কৰ্ম্মঠ বিশ্বস্ত লোকজন আবশ্যক হইলে তাহাও সংগ্ৰহ করিয়া দিতেন। এক সময়ে লর্ড ক্লাইবের একজন বিশ্বস্ত কৰ্ম্মপটু মুন্সীর প্রয়োজন হইলে তঁহার বন্ধু লক্ষ্মীকান্ত ধর মহাশয় সে সময়ে অপর কোথাও উপযুক্ত লোক না পাইয়া নিজের বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী নবকৃষ্ণকে লর্ড ক্লাইবের হস্তে অৰ্পণ করেন। নবকৃষ্ণ প্রভুর আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে মনোযোগের সহিত কৰ্ম্ম করিয়া নিজের যথেষ্ট উন্নতি করেন এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি কৰ্ত্তক রাজা উপাধিও প্ৰাপ্ত হন । ইহার বংশধরগণ শোভাবাজার-রাজবংশ নামে পরিচিত। গুণগ্ৰাহী লর্ড ক্লাইব অসময়ের বন্ধু লক্ষ্মীকান্ত ধরের উপকার বিস্মৃত হন নাই। ইংরাজ রাজত্বের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ তাহাকে “মহারাজা” উপাধি দিতে প্ৰস্তুত হন। কিন্তু তিনি উহ’ গ্ৰহণ করিতে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করেন । লর্ড ক্লাইবও মধ্যে মধ্যে ঐ প্ৰস্তাব করিতে ক্ষান্ত হন নাই। এইরূপে বার বার অনুরুদ্ধ হইলে তিনি তাহার একমাত্ৰ দৌহিত্ৰ সুখময় রায়কে ঐ উপাধিদ্বারা ভূষিত করিতে বলেন। লর্ড ক্লাইব আনন্দের সহিত এই প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করেন ও যথাসময়ে সুখময় রায়কে মহারাজা উপাধি প্ৰদান করেন। লক্ষ্মীকান্ত ধর মহাশয়ের পুত্রসন্তান ছিল না, তাহার পাৰ্বতী নামী একটী মাত্র কন্যা ছিল। তিনি কন্যাটীকে সাতিশয় ভালবাসিতেন। র্তাহার মৃত্যুর পর পাৰ্বতী দাসী তাহার সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারিণী হন। তঁহার মৃত্যুতে সকল শ্রেণীর লোক বিশেষভাবে মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন। র্তাহার মৃত্যুতে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী একজন R