পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VR বংশ-পরিচয় করেন এবং রাজ্যমধ্যে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিশেষভাবে প্রচার করেন ; সে কারণ এদেশে ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য শূদ্র সকল বর্ণের অধিবাসিগণই বহুপরিমাণে বৌদ্ধমতে প্ৰভাবান্বিত হইয়া বৈদিক ক্রিয়াকলাপ ও সংস্কারাদি বর্জন করেন। পরে যখন শঙ্করাচাৰ্য্য ও কুমারিল ভট্ট-প্ৰচারিত বৈদিক ধৰ্ম্ম ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মের নবকলেবর ধারণ করিয়া এদেশে প্রচারিত হয় তখন এদেশে নবভাবে ব্ৰাহ্মণ সৃষ্টি করিয়া অবশিষ্ট ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য । ਚਿ সমুদয় বর্ণকেই শূদ্রাচারী বর্ণনা করিয়া শূদ্র আখ্যা দেওয়া হয় এবং পরশুরাম কর্তৃক পৃথিবী একবিংশতিবার নিঃক্ষত্ৰিয় হওয়া ইত্যাদি নানাবিধ কাল্পনিক প্ৰবন্ধ প্রচার করিয়া এদেশে ক্ষত্ৰিয়জাতির কোনও অস্তিত্ব না থাকা সাব্যস্ত করা হয়। মহাভারতের হরিবংশপর্বের ৩৩শ এবং ৩৪শ অধ্যায় কিম্বা মৎস্য-পুরাণের ৪৩শ এবং ৪৪শ অধ্যায় অথবা কুৰ্ম্মপুরাণের পূর্বভােগ ২২শ অধ্যায় পাঠ করিলে পরশুরাম কর্তৃক পৃথিবী নিঃক্ষত্ৰিয় করার গল্প যে একেবারেই মিথ্যা তাহা বিশেষভাবে প্ৰমাণিত হয়। অধিকন্তু সুৰ্য্যবংশীয় দাশরথি রাম এবং চন্দ্ৰবংশীয় শান্তনুনন্দন ভীষ্ম কর্তৃক পরশুরামের বিশিষ্টরূপে পরাজয় এবং লাঞ্ছনাই পৃথিবী কখনও নিঃক্ষত্ৰিয় না হওয়ার স্পষ্ট প্ৰমাণ। বর্তমানকালের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকগণ যে সকল শিলালিপি ও তাম্রশাসনাদি আবিষ্কার করিয়াছেন সে সকল আলোচনা করিলে দেখা যায়, পাল-উপাধিধারী বহু ক্ষত্ৰিয় সম্রাট এই ভারতবর্ষ শাসন করিয়াছেন। ভারতবর্ষে যে কয়েকটি পাল-উপাধিধারী ক্ষত্ৰিয় রাজবংশ দেখা যায় তাহারা সকলেই সূৰ্য্যবংশীয় ক্ষত্ৰিয় ছিলেন । Annual Report of the Archaelogical Survey of India 1903–4, P. 280. Werse 2, 3, হইতে জানা যায় যে, গুর্জরের মহীপাল, দেবপাল, বিজয়পাল, রাজ্যপাল, ত্ৰিলোচনপাল, মহেন্দ্ৰপাল প্ৰভৃতি পালবংশীয় প্রতিহারগণ সুৰ্য্যবংশীয় ক্ষত্ৰিয় ছিলেন। গৌড়ের পাল