পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় "שפי צ মামলা সকল আপোষে নিম্পত্তি করিয়া দিতেন । মাসের পান মাস ধরিয়া তিনি অনেক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা শুনিয়া তাহার লিখিত রায় প্ৰকাশ করিতেন । যাহারা তাহার বিচারকায্য দেখিয়াছেন তাহারা তাহার বিচার-পদ্ধতির বিশেষ প্ৰশংসা করিয়৷ থাকেন। এখনও দেশের মধ্যে নানাস্থানে তাহার লিখিত রায় দেখিতে পাওয়া যায়। সেই রায়-পাঠে জানা যায়, তিনি পারস্য ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন এবং বাঙ্গালা ভাষায় তাহার বক্তব্য প্ৰকাশ করিবার ক্ষমতা ছিল । শিক্ষিত মুসলমানেরা তাহাকে মৌলবী বিজয়নারায়ণ বলিতেন । তরবারী খেলায়ও তিনি খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন । তাহার পুত্ৰ ব্ৰজনাথ চৌধুরী পারস্য ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। তিনি শ্ৰীহট্ট বারের একজন প্ৰধান উকীল ছিলেন । সমস্ত দেশহিতকর কাৰ্য্যে তিনি অগ্রবত্তী ছিলেন। পরগণার বাহিরে তিনি বিস্তৃত জমীদারী কিনিয়াছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম এই জেলায় চায়ের চাষ আরম্ভ করিয়াছিলেন । ইংরাজী শিক্ষা-বিস্তারের তিনি বিশেষ পক্ষ - পাতী ছিলেন। শ্ৰীহট্ট হাই স্কুলটির তিনি প্ৰতিষ্ঠাতা । এই স্কুলটি পরে গবর্ণমেণ্ট নিজ হন্তে গ্ৰহণ করেন। এখন এই স্কুলের নাম শ্ৰীহট্ট। গবৰ্ণমেণ্ট হাই স্কুল। শ্ৰীহট্ট সহর হইতে চলিয়া না যাওয়া পৰ্য্যন্ত তিনি স্কুল কমিটির সভ্য ছিলেন। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে যখন শ্ৰীহট্ট বঙ্গদেশের অন্তৰ্গত ছিল, তখন তিনি জেলা বোর্ড কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইয়াছিলেন । তিনি একজন নিষ্ঠাবান গোড়া হিন্দু ছিলেন। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের অবস্থানের জন্য তিনি বৃন্দাবনে একটি “কুঞ্জ” নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । তিনি একজন সমাজ-সংস্কারক ছিলেন । তাহার বিশেষ চেষ্টায় শ্ৰীহট্ট জিলায় অনেকগুলি পরগণার প্রধানগণ বিবাহের অনাবশ্যক জাকজমকশালী অশাস্ত্রীয় পদ্ধতি পরিবর্জন করেন । এই পদ্ধতিগুলি হইতে অনেক বাদ-বিসম্বাদের সৃষ্টি হইত। তিনি