পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YR 0 द९-श्रृंद्धि5भ করিয়াছেন। তিনি মিউনিসিপাল কমিশনার । সাড়ে দশ বৎসরের উপর কাল তিনি তিন বার শ্ৰীহট্ট মিউনিসিপালিটীর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইয়াছিলেন । ১৯০৫ সালে শ্ৰীহট্ট কো-অপারেটিভ টাউন ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা অবধি তিনি ইহার সভাপতি-পদে প্ৰতিষ্ঠিত আছেন প্ৰাইজ লাইব্রেরীর তিনি সতর বৎসর কাল অবৈতনিক সম্পাদক-পদে৷ অধিষ্ঠিত আছেন। ডিসপেনসারী কমিটির তিনি একজন সভ্য এবং সেণ্ট আম্বুলন্স সোসাইটীর তিনি একজন আজীবন সদস্য। তাহার পিতার স্মৃতি চিরস্থায়ী করিবার জন্য তিনি দাতব্য-চিকিৎসালয়ে অনেক টাকা দান করিয়াছিলেন । তাহার টাকাতেই দাতব্য চিকিৎসালয়ে স্ত্রীলোক রোগীদের চিকিৎসার জন্য “ব্ৰজনাথ চৌধুরী মহিলা বিভাগ' নামে একটী স্বতন্ত্র ওয়ার্ড নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। শ্ৰীহট্ট মুরারিচাদ কলেজের কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সমিতির তিনি সভ্য ; বালকদের জন্য গবর্ণমেণ্ট হাই স্কুল ও বালিকাদের জন্য গবৰ্ণমেণ্ট হাই স্কুলের তিনি সভ্য · স্বদেশী শিল্প-কারখানার তিনি একজন পৃষ্ঠপোষক ; ভারত সমিতি ও অল ইণ্ডিয়া টি এণ্ড ট্ৰেডিং কোম্পানী নামক দুইটী দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে তিনি অনেক টাকার সেয়ার কিনিয়াছেন। শুধু টাকার সাহায্য করিয়াই তিনি তাহার কৰ্ত্তব্য শেষ করেন নাই। এই দুইটী দেশীয় শিল্প প্ৰতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব ও উন্নতিকল্পে তিনি প্ৰভূত পরিশ্রম করিয়া থাকেন । ১৯১৯ সালে যে বিশেষ ফৌজদারী আদালত ( Special tribunal ) গঠিত হয় তিনি তাহাতে একজন বে-সরকারী সদস্যরূপে কাজ করিয়াছিলেন। এইরূপ নানা জনহিতকর কাৰ্য্যের জন্য গবর্ণমেণ্ট তাঁহাকে দুইবার সম্মানসূচক সার্টিফিকেট প্ৰদান করিয়াছেন : সরকার তঁহাকে অস্ত্ৰ-আইনের দায় হইতে মুক্তি দিয়াছেন। ১৯১৫ সালে তিনি প্ৰথমে “রায় বাহাদুর” উপাধি প্ৰাপ্ত হন। অতঃপর ১৯২৫ সালের নববর্ষে তাহাকে ‘সি-আই-ই” উপাধি দেওয়া হয় ।