পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 ጝ $ বংশ-পরিচয় বশবৰ্ত্তী হইয়া মধুসূদনের মাতা পুত্ৰকে মেডিক্যাল কলেজ ত্যাগ করাইলেন। মধুসুদন শুধু যে অধ্যয়নশীল ছাত্র ছিলেন তাহা নহে, শারীরিক উন্নতির প্রতিও তঁাহার বিশেষ মনোযোগ ছিল । তিনি নিত্য ব্যায়ামচৰ্চা করিতেন। তঁহার উদ্যমে সুরতি বাগানে একটা ব্যায়ামসমিতি প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সমিতির একটী ব্যায়ামক্ষেত্র ছিল। এই ব্যায়ামক্ষেত্র-সম্পর্কে মধুসুদন একবার দৃঢ়চিত্ততা ও সত্যবাদিতার পরিচয় দিয়াছিলেন। ক্ষেত্রের পাশ্বস্থ জমির মালিক ঐ ক্ষেত্রের অতি নিকটে একটী পায়খানা নিৰ্ম্মাণ করেন। মধুসুদন এই পায়খানা একাই ভাঙ্গিয়া দেন । কৰ্ম্মজীবন মেডিক্যাল কলেজ ত্যাগ করিয়া মধুসুদন পাঠ্যজীবন শেষ করেন । অতঃপর কৰ্ম্মান্বেষণে হেয়ার সাহেবের নিকট গমন করিলেন । হেয়ার সাহেব মধুসুদনকে তদীয় স্কুলের দ্বিতীয় শিক্ষকের পদে নিযুক্ত করিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই মধুসুদন সুশিক্ষক বলিয়া প্ৰসিদ্ধিলাভ করিলেন । মধুসুদন বিশ বৎসর বয়সে কলুটোলার রূপলাল মল্লিক। মহাশয়ের কন্যা সরময়ীর পাণিগ্রহণ করেন। মধুসুদন অনুরূপ পত্নী লাভ করিয়া পরমসুখে সংসারযাত্ৰা নিৰ্বাহ করিয়াছিলেন। মধুসূদনের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য এই যে, তৎকালে সমাজে নানারূপে বহিরাকর্ষণ থাকিলেও তিনি পত্নীর প্রতি কদাচ অবিচার করেন নাই এবং আজীবন একপত্নী-ব্ৰততার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন । মহামতি হেয়ার সাহেব শেষ জীবনে হেয়ার স্ট্রটস্থ গ্রে সাহেবের ভবনে বাস করিতেন। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্ব হইতেই হেয়ার