পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ ዓ8 진-f5 শিক্ষকের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। কিন্তু শীলমহাশয়ের পুত্রদিগের বিদ্যার্জনে কিছুমাত্ৰ আকাজক্ষা নাই দেখিয়া মধুসুদন ঐ কাৰ্য্য ত্যাগ করেন। প্ৰায় সেই সময়ে তিনি স্কুলের কাৰ্য্যও ত্যাগ করেন। তৎকালে কলুটোলার বদনচাদ রায় ব্যবসায় দ্বারা সমাজে বিশেষ প্ৰতিষ্ঠা অর্জন করিতেছিলেন। মধুসূদনের বিদ্যা ও বুদ্ধির পরিচয় পাইয়া রায়মহাশয় তাহাকে স্বীয় সহকারী নিযুক্ত করিলেন। মধুৰ সুন্দনের পরামর্শে বদনৰ্চাদবাবু গিাস্বরণ কোম্পানীর মুৎসুদ্দির পদ গ্ৰহণ করেন এবং এই সূত্রে প্রভূত অর্থ উপাৰ্জন করেন। মধুসূদনেরও এই সময় ভাগ্যান্নতি হইতে লাগিল। তিনি এতদিন মাসীর বাড়ীতে থাকিতেন। । কিন্তু এই সময়ে বদনচাদ বাবুর বাটীর পার্শ্বস্থ একখানি বাড়ী বিক্রয় হইতেছে শুনিয়া মধুসুদন উহা ক্রয় করেন। বাড়ীখানি দ্বিতল ও তলস্থ ভূমি মাপে সাড়ে বার কাঠা ছিল। বৰ্ত্তমানে উহ। ৩৩নং পিয়াস লেন বলিয়া পরিচিত। মধুসুদন জীবনের শেষকালাবধি এই বাটীতেই বাস করিয়া গিয়াছেন। উক্ত বাড়ীর পূর্ব নাম ছিল। চন্দ্ৰবাবুদিগের বৈঠকখানা বাড়ী। ঐ পাড়া তৎকালে মুৎসুদিপাড়া বলিয়া অভিহিত হইত। বলা বাহুল্য, মধুসুদন মুৎসুদ্ধি হইয়াছিলেন এবং তঁহার সমৃদ্ধির মূলীভূত কারণই এই মুৎসদ্দিপদ । বদনচাঁদ রায় মহাশয় মধুসুদনকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন। তাহার মৃত্যুর পূর্বে রায় মহাশয় মধুসুদনকে তাহার সম্পত্তির অন্যতম ট্রাষ্টি নিযুক্ত করিয়া যান। রায়মহাশয়ের মৃত্যুর পর তদীয় তিন পুত্রের সহিত মধুসুদন উক্ত গিন্সবরণ কোম্পানীর অফিসে মুৎসুদিরা কাৰ্য্য করিতে থাকেন। কিছুকাল পরে এই কোম্পানীর অফিস উঠিয়া যায়। মধুসুদন তৎপরে স্নায়মহাশয়ের উক্ত তিন পুত্রের সহিত সুইনি কিলবরণ ( যাহা বৰ্ত্তমানে কিল বরণ কোম্পানী নামে পরিচিত ) কোম্পানীর অফিসে মুৎসুদির