পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ 8 श्-*द्भि কাৰ্য্য করেন। তিনি যশোহরের বিখ্যাত ইতিহাস-রচয়িতা স্যার জেমস ওয়েষ্ট ল্যাণ্ডের অধীনে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রারম্ভে নিরঞ্জন মাসিক পাঁচশত টাকা বেতনে রেওয়ার মহারাজার সেক্রেটারী ও নায়েব-পদে নিযুক্ত হন। নিরঞ্জন পাতিয়াল এবং অন্যান্য রাজ্যের সহিত রেওয়াধিপতির সখ্য স্থাপন করিয়া দেন । ১৮৭০ খ্ৰীষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারী ডিউক অব এডিনবরা তাহাকে লক্ষ্মেী নগরীতে একখানি ফটোগ্রাফ উপহার দেন। দক্ষিণারঞ্জনের সহিত নিরঞ্জনও লণ্ডনে যাইবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু কোন কারণবশতঃ উভয়েরই যাওয়া ঘটিয়া উঠে নাই। এই সময়ে নিরঞ্জন কাশীতে অবস্থান করিয়া ভিজিয়ানাগ্র্যামের মহারাজার সেক্রেটারীর কাৰ্য্যও করিয়াছিলেন। তঁহার ব্যবহার ও চরিত্রে মুগ্ধ হইয়া ত্ৰিবন্ধুরের মহারাজা তাহাকে ত্ৰিবাস্কুরের হস্তিদন্তনিৰ্ম্মিত একটি কারুকাৰ্য্যময় দ্রব্য উপহার পাঠাইয়াছিলেন। ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় রাজদর্পণের প্রথম খণ্ড কাশী নরেশগণের ইতিহাস রচনা করেন। ১৮৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দে উহা মুদ্রিত ও প্ৰকাশিত হয়। এই গ্রন্থে তিনি যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন এবং তাহা তৎকালে সুধীসমাজে বিশেষ আদৃত হয়। ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে যুবরাজ ( পরে সম্রাটু সপ্তম এডওয়ার্ড ) ভারতবর্ষে বেড়াইতে আসেন। নিরঞ্জন তঁহার অনুচরবর্গের সহিত নানাদেশ পরিভ্রমণ করেন। যুবরাজের সহচর লর্ড চালর্স রেরেসফোর্ডের সহিত নিরঞ্জন পূর্বে পরিচিত থাকায় তিনি যুবরাজ যে “সির্যাপিস” জাহাজে আসিয়াছিলেন সেই জাহাজ নিরঞ্জনকে দেখাইবার জন্য জাহাজের কাপ্তেনকে অনুরোধ-পত্ৰ দেন । ১৮৭৬ খ্ৰীষ্টাব্দে রেওয়াধিপতির কোনও কৰ্ম্মোপলক্ষে এবং দেশভ্রমণের জন্য নিরঞ্জন কাশ্মীর