পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କିଳ, ଦ বংশ-পরিচয় । কারামুক্ত হইয়া রামচন্দ্ৰ বাটী-অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। পথে গঙ্গা মান করিবার জন্য তিনি বাদসাহের ফারমান বা নিয়োগপত্র দুইখানি কাপড়ের সহিত তীরের উপর রাখিয়া জলে অবতরণ করিলেন । ইতিমধ্যে একটি শঙ্খচিল আসিয়া যে ফারমানখানি দ্বারা তিনি সুবে বাঙ্গালার সদর কানুনগো নিযুক্ত হইয়াছেন সেই ফারামানখানি ছো। মারিয়া লইয়া গেল এবং নিকটবত্তী একখানি বাড়ীতে তাহা ফেলিয়া দিল । তখনকার কালে লোকের বিশ্বাস ছিল যে, স্বয়ং ভগবতী সময়ে সময়ে শঙ্খচিলের মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া থাকেন। রামচন্দ্ৰ ঐ বাটীর কৰ্ত্তার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন, ভগবতীর ইচ্ছা হইয়াছে যে আপনিই সুবে বাঙ্গালার কানুনগো হউন । এই কথা বলিয়া তিনি অবশিষ্ট ফারমানখানি লইয়া তথা হইতে প্ৰস্থান করিলেন এবং সুবে উড়িষ্যার কানুনগো পদে অধিষ্ঠিত হইলেন । কংসাবতী ও সুবর্ণরেখা নদীদ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানসমূহ তাহার এলেকাধীন ছিল । এরূপ অনুমান হয়, হুগলী জেলার বঁাশবেড়িয়ার রায় মহাশয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা যিনি, তিনিই অপর ফারমানখানি প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। বঁাশবেড়িয়া ত্ৰিবেণীর নিকটবৰ্ত্তী ; ত্ৰিবেণীতে বহুলোক গঙ্গাম্মান করিয়া থাকে । রায় মহাশয় রামচন্দ্রখার পৈত্রিক নিবাস বালিগ্রামে ছিল । এই গ্রামে থাকিয়া দূরবর্তী বিস্তীর্ণ উড়িষ্যার সুবার কাৰ্য্য পরিদর্শন বড়ই কষ্টসাধ্য ছিল। এইজন্য তিনি বালিগ্রামের বাটী ও সম্পত্তি অপরকে দান করিয়া জলেশ্বরের নিকটবৰ্ত্তী সুবর্ণরেখা নদীর তীরস্থ লক্ষ্মণনাথ গ্রামে বসবাস স্থাপন করেন। উড়িষ্যার পাঠান শাসনকৰ্ত্তা সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইলে সম্রাট আকবর বিদ্রোহ দমন করিবার জন্য মহারাজা মান